আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ছাড়া বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ কমে এসেছে। রয়র্টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে করোনা মহামারী নিয়ে সর্বশেষ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, এখনও আমেরিকা মহাদেশেই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি থাবা বিস্তার করছে। বিশ্বে নতুন আক্রান্তদের অর্ধেকই ওই অঞ্চলের বাসিন্দা। এছাড়া, গত সপ্তাহে মারা যাওয়া ৩৯ হাজার ২৪০ জনের মধ্যে ৬২ শতাংশ আমেরিকা অঞ্চলের।
গত এক সপ্তাহে (১৭ থেকে ২৩ অগাস্ট) নতুন করে ১৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার মানুষ মারা গেছে। যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্ত ৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ১২ শতাংশ কম।
অথচ, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয়ই লাফিয়ে যথাক্রমে ২৮ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ বেড়েছে। আমেরিকা অঞ্চলের পর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মহামারী সবচেয়ে বেশি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সেখানে এখনও ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেশী নেপালেও দ্রুত ভাইরাস ছাড়াচ্ছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গত ছয় সপ্তাহে আক্রান্তের হার ৪ শতাংশ বাড়লেও মৃত্যুহার লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। সেখানে লেবানন, তিউনিসিয়া ও জর্ডানে সংক্রমণ বিস্তারের গতি সবচেয়ে বেশি। আফ্রিকা অঞ্চলে গত সপ্তাহে নতুন আক্রান্ত এবং মৃত্যু যথাক্রমে ৮ শতাংশ এবং ১১ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপে গত তিন সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের সংখ্যা টানা বাড়ছে। যদিও গত সপ্তাহে এই বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ। তবে সেখানে মৃত্যুহার কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন আক্রান্ত ৫ শতাংশ কমেছে। ওই অঞ্চলে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভিয়েতনামে সংক্রমণের গতি কমেছে।
ব্যতিক্রম দক্ষিণ কোরিয়া। গত সপ্তাহে দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ১৮০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ধর্মীয় একটি শোভাযাত্রা থেকে মূলত রাজধানী সিউল ও তার আশেপাশের এলাকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে ওই এলাকায় আবারও স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর