ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
মার্কিন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে নানাধরনের বাকবিতণ্ডা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হয়ে উঠেছে আমেরিকার ডাক ব্যবস্থা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলছেন: ‘এবারের নির্বাচনে আমাদের হারার সম্ভাবনা একমাত্র একটা কারণেই- যদি নির্বাচনে কারচুপি হয়।’
তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন একটি টক শোতে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন: ‘প্রেসিডেন্ট এই নির্বাচন চুরি করতে যাচ্ছেন।’
সবচেয়ে নজিরবিহীন বিষয় হলো এ প্রসঙ্গে তারা দু’জনেই ডাক ব্যবস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। চার বছর আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যমে জনমত জরিপের সন্দেহজনক অ্যালগরিদিম বা হিসাবনিকাশ, রুশ হ্যাকিং এবং গোপন দলিল পত্র ফাঁস এসব নিয়ে হুলুস্থুল হয়েছিল।
কিন্তু এ বছর সব বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে উঠেছে আমেরিকার ডাক বিভাগ।
ডাক ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ?
আমেরিকার ডাক ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বেশ কিছু সাম্প্রতিক টুইটে দাবি করেছেন: ওরা এই নির্বাচন ‘চুরি’র চেষ্টা করছে। এটা হতে দেয়া যাবে না!
কারণ জো বাইডেন এবং তার ডেমোক্রাট দল খুবই চায় নভেম্বর মাসে নির্বিঘ্নে নির্বাচন হোক, এবং এমন গুজব রয়েছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান দল খুবই আশা করছে এই নির্বাচন পেছানো যাবে।
করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর কয়েক শ কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয় গেছে, কাজেই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার যে একটা প্রভাব পড়তে পারে সে আশঙ্কা অমূলক নয়।
কোভিড-১৯ -এর বিস্তার ঠেকাতে কোন কোন অঙ্গরাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেসব রাজ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সেখানেও অনেক মানুষ ভোটকেন্দ্রের ভিড় এড়াতে চাইছেন।
কাজেই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দানের হার এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ডাক ব্যবস্থা এই বিপুল সংখ্যক পোস্টাল ব্যালটের চাপ সামলাতে পারবে কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।
জো বাইডেন গত কয়েকমাস জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন এবং তিনি চান নির্বাচনী ব্যবস্থা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হোক, কারণ তিনি মনে করছেন তিনি জিতবেন।
অন্যদিকে, কোভিড-১৯ এ এক লাখ ৭০ হাজার আমেরিকানের মৃত্যু এবং করোনাভাইরাস সংকটের কারণে আমেরিকান অর্থনীতিতে ধসের ফলে ট্রাম্পের নির্বাচনী কৌশল বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। এবং এসব কারণে তিনি ইতিমধ্যেই নির্বাচন পেছিয়ে দেবার প্রস্তাব করেছেন।
সমালোচকরা বলছেন, এর কারণ ট্রাম্প মনে করছেন নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি হেরে যেতে পারেন এবং তিনি ভোটারদের মন জয় করতে কিছু সময় হাতে পেতে চাইছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
সান নিউজ/ আরএইচ