ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কমিয়ে ও ভুল তথ্য আর পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করিয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন বিশ্লেষকরা। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবি, লকডাউনের নতুন কৌশল নেয়ায় পাকিস্তানে করোনায় নতুন শনাক্তের সংখ্যা কমছে।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৬৫ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন৷ পর্যন্ত মোট শনাক্ত দুই লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে৷ মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৫০৫ জন৷
পাকিস্তান কোভিড-১৯ এ দ্রুত আক্রান্ত ১০টি দেশের একটি৷ কিন্তু জুলাইতে করোনার প্রকোপ কমে আসার কারণ প্রশ্নবিদ্ধ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবির সঙ্গে মিলছে না বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ। তথ্য পরিসংখ্যানও বলছে ভিন্ন কথা। ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতি দশ হাজারে একজনের পরীক্ষা হয়েছে৷ যেখানে জুনে ছিল ১.৩ জন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে প্রকৃত পরীক্ষার সংখ্যা কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ কমেছে৷
পাকিস্তানের দৈনিক করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা ৭১ হাজার ৭৮০ টি৷ অথচ ব্যবহার হচ্ছে তার মাত্র ৪০ ভাগ৷ পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ জুলাই দেশটিতে ২৪ হাজার ২৬২ জনের পরীক্ষা হয়েছে৷ ঠিক তার এক মাস আগে ১৩ জুন এই সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৪৬। এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৬৮১ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত ১৯ জুন। জুলাই থেকে যেখানে ৫০ হাজার পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার সেখানে এখন উলটো তা কমেছে।
এছাড়া আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা লুকানোরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
পাঞ্জাবের একটি জেলার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, উপরের নির্দেশে তারা আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধেক প্রকাশ করছেন। জুলাইতে তিনি নতুন ৩৪ জন শনাক্তের তথ্য দিয়েছেন, যেখানে প্রকৃত সংখ্যাটি ছিল ৬৩।
একদিকে কম পরীক্ষা আর অন্যদিকে পরিসংখ্যান লুকিয়ে পাকিস্তানের সরকার শনাক্তের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
সান নিউজ/ আরএইচ