ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (১৯ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ১২৫ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৮১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ লাখ ১১ হাজার ২৩৬ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৪ হাজার ৬৫ জন। আর মারা গেছেন ৫০০৮ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ।
চীনের উহানে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলেও এখনও অদৃশ্য এই ভাইরাসটির বেশি প্রকোপ আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। ইউরোপের কিছু দেশেও ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চীন-জাপানেও। ফলে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, অনেকে দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মক ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করতে হবে।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৭১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৭৭ জনের। করোনায় মোট মৃতের দিক থেকেও প্রথমে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ২১৯ জন।
করোনায় আক্রান্তের থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৭৫ হাজার ২৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ৮১৭ জনের। আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭৫ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮২৮ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩০ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৭ জন। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৪৭ জনের।
সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ১৭ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২ হাজার ৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫৮১ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন।