সান নিউজ ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ঠাণ্ডা পানীয়ের বাজারে ব্যাপক ধাক্কা এসেছে। এমন অবস্থায় কর্মী সংকোচন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষ। বহুজাতিক এই কোমল পানীয় তৈরির সংস্থাটি এক ধাক্কায় ৪ হাজারের মতো কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
কোকা-কোলা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। তার কারণ, বহুজাতিক এই কোমল পানীয় সংস্থার সিদ্ধান্ত প্রথম পর্যায়ে সব থেকে বেশি কর্মী ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই।
২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছর কোকো-কোলায় মোট কর্মী ছিলেন ৮৬ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১০০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। মার্কিন নির্বাচন সামনেই। ট্রাম্প সরকার কোকা-কোলার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করায়, এই সংস্থার মার্কিন কর্মীরা এখন ক্ষোভে ফুঁসছেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কোকা-কোলার কর্মী সংকোচন এবার মার্কিন নির্বাচনী লড়াইয়ের অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে। যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এই প্রশ্নে জর্জরিত দেশটির সরকার।
প্রথম দফায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা ও পুয়ের্তোরিকোর কর্মীরা ছাঁটাই হতে চলেছেন। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছু ইউনিট বন্ধ করে, তা অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসেবেই চার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষ।
ছাঁটায়ের কারণ হিসেবে কোকাকোলা সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনার কারণে বিক্রি ও মুনাফা কমে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে বাধ্য হয়েই কর্মী সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
১৮৮৬ সালে জন স্টিদ পেরেটম্ব নামে এক কেমিস্ট কোকা-কোলার ফর্মুলা আবিষ্কারের পর ১৮৯২ সালে আটলান্টায় কোকা-কোলা কোম্পানির জন্ম হয়। তবে প্রতিষ্ঠার ১২৮ বছরের মধ্যে সংস্থাটির এমন দুর্যোগ আসেনি।
কোকা-কোলা ১২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ। এমন অবস্থায় প্রথম দফায় ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর শুনে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই শীতল পানীয় সংস্থার কয়েক হাজার কর্মী।
তবে সংস্থার তরফে কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যাদের ছাঁটাই করা হবে তাদের প্রত্যেকেই আর্থিক প্যাকেজের সুবিধা পাবেন।