ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রায় দেড় মাস পরে লাদাখ সীমান্তে আবারও হানা দিল চীন। এবারও সেই একই অনুপ্রবেশের অভিযোগ। তবে এবার চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেই ক্ষান্ত হয়নি। রীতিমত সীমান্তে কামান বসিয়েছে ভারত।
চীনও ছেড়ে কথা বলছে না। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-চীনের সেনারা। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে পরস্পরকে তাক করে বসে রয়েছে দু’দেশের ট্যাঙ্কবাহিনী।
অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সরব বেইজিং। এর আগে বিশ্ব মহলে চীনের আগ্রাসনের কথাই বলে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু এ বার উল্টে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল চীন।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের দিকের চুমার এলাকায় চীনের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনা তা প্রতিহত করেছে। চীনের চেপুজি ক্যাম্প থেকে ৭-৮টি গাড়ি বের হতে দেখে ভারতীয় সেনা সতর্ক হয়ে যায়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে সেনা সমাবেশ করে ভারত। সেই তৎপরতা দেখে ক্যাম্পে ফিরে যায় চীনের সেনা।
গত শনিবার রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে বিনা প্ররোচনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছিল চীন। ভারতীয় সেনাদের তৎপরতায় যা ভেস্তে যায়। পিছু হটতে বাধ্য হয় চীনের সেনাবাহিনী।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, চীনা সেনারা গত এপ্রিল-মে মাসে যে জায়গাগুলি দখল করে ঘাঁটি গেড়েছিল, তার কয়েক কিলোমিটার এলাকা আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে ভারত।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গতকালের পরে আজ বুধবার লাদাখের চুসুলে হওয়া ব্রিগেড কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে দর কষাকষির প্রশ্নে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত। ঠিক যে ভাবে এত দিন ভারতের জমি দখল করে দর কষাকষিতে এগিয়ে থেকেছে চীন।
লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাপ্রধান এম এম নরবণে।
শীত শুরু হওয়ার আগে চীনের সেনা যে ভাবে নতুন করে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে, কী ভাবে তা প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।