আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে লক্ষ্য করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হামলা চালিয়ে আসছিল ইসরায়েল। কিন্তু হঠাৎই এ সংঘাতের ইতি টানতে চাইছে ইসরায়েল। এ জন্য অবশ্য তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাতারকে মধ্যস্থতা করতে হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ফলে গাজা উপতক্যার ওপর বিমান হামলাসহ সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে ইসরায়েল। এর বিপরীতে গাজা থেকে যে আগুনে বেলুন দিয়ে হামাস হামলা চালাতো সেগুলোও বন্ধ করা হবে।
হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “কাতারের দূত মোহাম্মাদ আল-এমাদির সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে যে, সর্বশেষ সংঘাতের রাশ টেনে ধরা হবে এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়-যুদ্ধবিরতির ফলে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে যা গাজার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে।
হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে সব প্রতিরোধকামী সংগঠন হামলা বন্ধ করবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল জ্বালানি সরবরাহ শুরু হবে এবং মঙ্গলবার থেকে গাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে।
গত কয়েকদিন ধরে কাতারের দূত গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য লাগাতার বৈঠক করে আসছিলেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েল বলেছে, শান্তি এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তেল আবিব। তবে হামাস যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইসরায়েলও অনরূপ ব্যবস্থা নেবে।
গত ৬ আগস্ট থেকে ইহুদিবাদী ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অন্যদিকে হামাসও নিয়মিতভাবে রকেট এবং আগুনে বেলুন ছুঁড়ছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। ২০১৪ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় অবরোধ প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি দখলদার ইসরায়েল।
সান নিউজ/ এআর