ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চীন সংঘাতের উত্তেজনা এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই চীনের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ছুড়লেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
ইন্ডিয়া লিডস সামিটে মাইক পম্পেয়োর ঘোষণা, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দু’দেশের কাছেই বিপদ।’
গালওয়ান উপত্যকায় নিহত শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চীনের নির্ভরতা কমানোর কথাও বললেন মার্কিন বিদেশ সচিব। নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের বন্ধুত্বের এই বার্তার পরেই চীনের পাল্টা বক্তব্য, ভারত যেন স্বতন্ত্র বিদেশনীতি রক্ষা করে।
ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনায় আয়োজিত অনলাইন পর্যালোচনা বৈঠক ‘ইন্ডিয়া লিডস’-এ বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে বক্তব্য পেশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামিটের আয়োজক ‘ইন্ডিয়া-ইউ এস বিজনেস কাউন্সিল’। এই সামিটেই মাইক পম্পেয়ো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিপদের কথা বলেছেন।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওষুধের মতো ক্ষেত্রে চীনের নির্ভরতা কমাবে আমেরিকা।’
ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে আমেরিকা যে সব সময়ই পাশে দাঁড়িয়েছে, সে কথাও আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব।
কিন্তু নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের এই সখ্য চীন যে ভালোভাবে নেবে না, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল নয়াদিল্লি। সেই মতোই বিবৃতি দিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন বলেছেন, ‘আমরা আশা ও বিশ্বাস করি যে, ভারত তার স্বাধীন গণতান্ত্রিক নীতিতে অটুট থাকবে। ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে ভারত।’
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনা আগ্রাসন ও তার জেরে গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষের জেরে ভারত-চীন সম্পর্কে অভূতপূর্ব শৈত্য। আবার গত কয়েক বছরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। উল্টোদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন- দু’দিকেই সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
চীনের উহানের ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি কি না, তা নিয়ে তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবারই মার্কিন মুলুকের হিউস্টনের চীনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এমন আবহে মাইক পম্পেয়ো যেভাবে কার্যত কোনো রাখঢাক না রেখে ভারতের পক্ষে এবং চীনের বিপক্ষে মন্তব্য করলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর