ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভিসা দেওয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া ‘বেআইনি’ এবং এ ভাবে প্রেসিডেন্ট তার ‘এক্তিয়ার’ ছাড়াচ্ছেন, এই অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করল আমেরিকার একাধিক শিল্পগোষ্ঠী। তাদের অভিযোগ, এইচ-১বি ভিসা-সহ অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের বাড়াবাড়িতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের হারাতে চলেছে আমেরিকা।
সানফ্রান্সিসকোর ফেডেরাল কোর্টে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে হোমল্যান্ড সিকিওরিটি ও পররাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে। মামলায় অভিযোগ— ২২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সাময়িক ভাবে নিযুক্ত কর্মীদের সব ক্যাটেগরিতে ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ভাবে চাকরি-নির্ভর ভিসা দেওয়া বন্ধ হওয়ায় দেশ জুড়ে সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি ক্ষতির মুখে পড়েছে। উল্টো দিকে, আমেরিকায় কাজ করতে আগ্রহী বহু দক্ষ কর্মী কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন।
মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে ‘ইউএস চেম্বার অব কমার্স’, ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার’, ‘ন্যাশনাল রিটেল ফেডেরেশন’। তাদের দাবি, ‘‘এ ধরনের অভিবাসন নীতি আসলে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার, এক্সিকিউটিভ, আইটি বিশারদ, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য দক্ষ কর্মীকে ‘নট ওয়েলকাম’ বলার শামিল। ভিসা সংক্রান্ত এই সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে ভুগতে হবে দেশকে।’’
‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানুফ্যাকচারার’-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডা কেলি বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতার বাজারে ভিসা দেওয়া নিয়ে এ ভাবে কড়াকড়ি শুরু করলে অন্য দেশগুলোরই সুবিধা হয়ে যাবে। প্রতিভাবান কর্মীরা আমেরিকার বদলে অন্য দেশ বেছে নেবে।’’ মামলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি, বিদেশ দফতর কিংবা হোয়াইট হাউস।
প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এইচ-১বি এবং এইচ-৪ ভিসা দেওয়া বন্ধ। এর সাহায্যে প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা তাদের পরিবার নিয়ে আমেরিকায় থাকতে পারেন। বন্ধ করা হয়েছে ‘এল’ ভিসাও। এতে সংস্থার ভিতরে বদলি বা ইন্ট্রাকোম্পানি ট্রান্সফার হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির জন্য দেওয়া হয় ‘জে’ ভিসা। তা-ও আপাতত বন্ধ করেছে মার্কিন প্রশাসন। শুধুমাত্র এইচ-১বি ভিসাতেই ৫ লক্ষ ৮০ হাজার বিদেশি কাজ করেন আমেরিকায়। ২০১৯ সালে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ‘এল’ ভিসা ইস্যু হয়েছিল। ‘জে’ ভিসায় প্রতি বছর আমেরিকায় আসেন ৩ লক্ষ পড়ুয়া।
সান নিউজ/ বি.এম.