ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এবার চীনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল ভুটান। ভুটানের আন্তর্জাতিক সূত্র জানায়, চীন-ভুটান সীমান্তের পূর্ব প্রান্তের স্যাকটেং অভয়ারণ্যের জন্য বেইজিংয়ের দাবি খারিজ করে দিয়ে চীনের দূতাবাসে কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র বা ‘ডিমার্শে’ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লিতে ভুটান দূতাবাস।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বেইজিং-নয়াদিল্লির সংঘাতের আবহেই ভুটানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা ফের সামনে আসে। ভুটান সীমান্তের ওই অভয়ারণ্যকে নিজেদের জমি বলে দাবি করে বেইজিং। অথচ সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দু’দেশ অতীতে যে ২৪ বার বৈঠকে বসেছে, সেখানে এই দাবি কখনও তোলা হয়নি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরিবেশ মঞ্চেও (জিইএফ কাউন্সিল) ভুটান সীমান্তের ওই অভয়ারণ্য নিয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরে বেইজিং। সেখানে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সাহায্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরিবেশ মঞ্চে চীনের অবস্থানের বিরোধিতা করে ভুটান।
মঙ্গলবারও (২১ জুলাই) ওই অভয়ারণ্যের জন্য ফের দাবি তোলে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভুটান ও চীনের সীমান্তে বহু এলাকা এখনও স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। চীন-ভুটান সীমান্তের মধ্য, পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের বেশ কিছু জায়গা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে। আর এই সব সমস্যার সমাধানে প্যাকেজ প্রস্তাব দিচ্ছে বেইজিং।’’
চীন সরকারের মুখপাত্র আরও দাবি করেন, সীমান্ত নিয়ে বরাবরই স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে এগিয়েছে তারা। তবে ভুটানের সঙ্গে জমি বিতর্ককে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে আগ্রহী নয় বেইজিং। বরং নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।
লাদাখে সংঘাতের মধ্যেই তাদের মানচিত্রের মতো বিতর্কিত বিষয়কে সামনে এনে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করেছে আর প্রতিবেশী নেপাল। অনেকেই এর পিছনে চীনের ছায়া দেখছেন। কূটনীতিকেরা মনে করছেন, ভুটানের অভয়ারণ্য নিয়ে নতুন করে চীনের দাবি তোলার পেছনেও রয়েছে ভারতকে নিশানা করার চেষ্টা। কারণ, এই এলাকা থেকে ভারত একেবারেই দূরে নেই। ভুটান অবশ্য চীনের সেই দাবির কাছে মাথা নোয়ায়নি।
সান নিউজ/ এআর