আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি মোকাবিলায় চলছে টিকা প্রয়োগের কাজ। তবে নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকেই টিকা নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে আছেন দোটানায়।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকোর টিকা নেওয়ার পর বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাটের অভিযোগ উঠেছিল। এর পাশাপাশি অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল ফাইজারের টিকা নিয়েও।
মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের করোনা টিকা কি শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে? এই প্রতিষেধক নিলে কি শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পায়, সক্রিয়তা বা কার্যকারিতা কমে যায়? সম্প্রতি সংস্থাটির কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে এসব আশঙ্কাই সামনে আসতে শুরু করেছিল।
অবশ্য এর উত্তর মিলেছে ইসরায়েলের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায়। একটি বিজ্ঞান-গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত সেই গবেষণার ফলাফলে ফাইজারের টিকা নিয়ে সব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ফাইজারের টিকার সঙ্গে শুক্রাণু হ্রাসের বা কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সম্প্রতি ৪৩ জন পুরুষের ওপর গবেষণা চালান ইসরায়েলের একদল বিজ্ঞানী। গবেষণার অংশ হিসেবে ফাইজার টিকা নেওয়ার ঠিক আগে এবং টিকা নেওয়ার এক মাস পরে তাদের শুক্রাণুর নমুনা সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার ফলাফল বলছে, শুক্রাণুর সংখ্যা এবং কার্যকারিতার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। টিকা নেওয়ার আগেও যা ছিল, টিকা নেওয়ার পরও কার্যকারিতা একই রয়েছে।
এই গবেষণার পর অহেতুক ভয় না পেয়ে সকল পুরুষদেরই কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া যেসব দম্পতি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদেরও নিশ্চিন্তে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে ফাইজারের টিকায় যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তা নয়। সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেনও তারা। আর তা হচ্ছে- টিকা নেওয়ার পর কারও কারও ঘুম না আসা, ক্ষুধামন্দার মতো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সাননিউজ/এএসএম