আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাতে তার বাড়ির সামনে এক বিস্ফোরণে তিনি আহত হন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বাড়ির সামনে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী, বাড়ির সামনে একটি মোটরবাইকে এই বিস্ফোরণটি হয়। এতে মোহাম্মদ নাশিদ ও তার এক দেহরক্ষী গুরুতর আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আইইডি’র মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে মালদ্বীপের ক্ষমতাসীন দল মালডিভিয়ান ডেমোক্যাটিক পার্টি (এমডিপি)। তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় আর কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মালদ্বীপের মন্ত্রী আহমেদ মালুফ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ নাশিদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পাশের একটি মোটরবাইকে বিস্ফোরণ ঘটে। এটি নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী হামলা। হামলার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। সরকার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পার্লামেন্টের স্পিকার মোম্মদ নাশিদ বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এডিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
অবশ্য বিস্ফোরণে তিনি ঠিক কতটা আহত হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। হামলায় তার এক দেহরক্ষী ছাড়াও একজন পর্যটকও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিএসএম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মালদ্বীপের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাশিদ এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। বর্তমানে মালদ্বীপের পার্লামেন্টের স্পিকার পদে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন নাশিদ। যদিও ২০১২ সালে চার বছরের মাথায় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এরপর চলে যান স্বেচ্ছা নির্বাসনে। ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেননি। একই বছর দল ফের ক্ষমতায় আসলে দেশে ফেরেন তিনি।
সান নিউজ/এসএম