আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিপর্যস্ত। হাসপাতালে শয্যা আর অক্সিজেনের সংকটে ভেঙে পড়েছে দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবিলায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চালু করা হয়েছে অক্সিজেন যুক্ত অটো-অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
প্রতিদিনই ভারতে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়তে বাড়তে দৈনিক মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে চার হাজারের কাছাকাছি। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
তবে সারা ভারতের মধ্যে রাজধানী দিল্লির অবস্থা যেন বেশিই খারাপ। সেখানে অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন একের পর এক করোনা রোগী। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
ভেঙে পড়া চিকিৎসা সেবা সুষ্ঠু ভাবে বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসেবে দিল্লিতে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর ওপর চাপ কমাতে চালু করা হল অক্সিজেন যুক্ত অটো-অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণ রয়েছে এমন রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্যই এই সেবা চালু করা হয়েছে। রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে এই অটো-অ্যাম্বুলেন্স সেবা সেখানে পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।
আপাতত এমন ১০টি অটোতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। এসব অটো অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে থাকছে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্যানিটাইজার।
এই অটো-অ্যাম্বুলেন্সগুলোর মাধ্যমে ৮৫ থেকে ৯০ এর মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা ও করোনার হালকা লক্ষণযুক্ত রোগীদের কাছাকাছি কোনো হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হবে।
দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি) রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং এসব অ্যাম্বুলেন্সের কয়েকটি ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পিপিই কিট পরা ড্রাইভাররা অটো নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
একটি ভিডিও টুইট করে তিনি জানান, ‘বিনামূল্যে অটো অ্যাম্বুলেন্স সেবা মানুষদের হাসপাতালে পৌঁছতে সাহায্য করবে এবং শিগগিরই এমন আরও ২০টি অটো-অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হবে। এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আবেদন জানান তিনি।’
বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৪ লাখ ১২ হাজার ২৬২ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে আক্রান্তের দিক দিয়ে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৮০ জনের।
সাননিউজ/এএসএম