নিজস্ব প্রতিনিধি, জাককানইবি: ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যেমন বিচার করা হয়েছে, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদরদের যেমন বিচার করা হয়েছে ঠিক তেমনি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদেরও বিচার করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে একটি শোক শোভাযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’ ও ‘চির উন্নত মম শির’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সদস্য সচিব নুসরাত শারমিন তানিয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহ্সান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও আলোচনা সভার কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সাহাবউদ্দিন, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিকেলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএইচপি