সাননিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনায় সারাবিশ্বের সবধরনের পেশাজীবিরাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। দীর্ঘ মেয়াদি লকডাউন কাটিয়ে অনেক শিক্ষার্থীরাই স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনে ফিরে আসতে পারছে না।
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল খুললেও বাংলাদেশের ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী কন্যা শিশুদের প্রতি ১০ জনের এক জন আর স্কুলে ফিরে আসেনি। তাদের ঝরেপড়া শিক্ষার্থী হিসেবে গণনা করা হচ্ছে।
তবে পুরোদমে স্কুল কার্যক্রম খুলে গেলে প্রকৃত ঝরেপড়ার হার উঠে আসবে। পপুলেশন কাউন্সিলের করা জরিপের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘দ্য স্টেট অব দ্য গ্লোবাল এডুকেশন ক্রাইসিস: এ পাথ টু রিকভারি’ শিরোনামে এ প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ইউনেস্কো, ইউনিসেফ এবং বিশ্বব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, করোনায় স্কুল বন্ধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্বের ১৬০ কোটি শিক্ষার্থী। করোনার আগে বিশ্বব্যাপী ২৫ কোটি ৮০ লাখ শিশু স্কুলশিক্ষার বাইরে ছিল। নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে যারা স্কুলে যাচ্ছে তাদের ৫৩ শতাংশ ‘শিক্ষা দারিদ্রে’ ভুগছে। ১০ বছর বয়সেও তারা সঠিকভাবে পড়তে বা লিখতে পারছে না। করোনার প্রভাব শুরুর পর শিক্ষার্থীরা নতুন সংকটে পড়েছে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের ২৮টি দেশের করোনাকালে স্কুল শিক্ষার অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
করোনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ২১ মাস পরে দেখা গেছে বহু শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরে আসতে পারছে না। তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্রাজিলে ঝরে পড়েছে প্রায় ৯ ভাগ শিক্ষার্থী, মেক্সিকোতে এই হার ১০ শতাংশ। কেনিয়ার মতো দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কন্যা শিশুদের প্রায় ২৬ ভাগই ঝরে পড়েছে। নাইজেরিয়ায় এ হার ৮ শতাংশ। বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী কন্যা শিশুদের ১০ শতাংশ স্কুল কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়েছে।
স্কুল খোলার পর মেয়ে শিশুদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে এক জন আর স্কুলে ফিরে আসেনি।খানা জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। জানুয়ারি মাসে স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে প্রকৃত ঝরেপড়ার সংখ্যা উঠে আসবে।
সাননিউজ/এএএ