নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা: একটি সেলুনে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে পা ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই যুবকের রক্তাক্ত লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। সেলুনের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় ।
রোববার এ ঘটনায় দুপুরে ওই সেলুনের মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগেশন (পিবিআই)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
কুমিল্লা পিবিআই জানান, ৩০ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লার পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দেলোয়ারের কাছে পাওনা ৩ লাখ টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিলো তাদের মধ্যে। লক্ষণের বক্তব্য অনুযায়ী পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেওয়ার জেরেই দেলোয়ারকে ফোনে ডেকে এনে দোকানে বসিয়ে বডি ম্যাসেজ শেষে পরিকল্পনা অনুযায়ী নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এরপর লাশ বস্তায় ভরে ভোরে দোকানের বাইরে দিয়ে তালা লাগিয়ে আমতলি তার নিজের বাড়ির উঠানে মাটির নিচে গর্ত করে নিহত দেলোয়ারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি লুকিয়ে রাখে। এরপর গোসল শেষে স্ত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে সকাল ৭টায় চাঁদপুর চলে যায়। চাঁদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সাননিউজ/এএসএম