নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে পরিবেশ নষ্ট করায় চার ব্যক্তিকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের মতিঝর্ণা লালখান বাজার এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার দায়ে রঘু দাশগুপ্তকে ৪০ হাজার টাকা, বায়জিদ রিদোয়ান হোসেনকে ৪৫ হাজার টাকা, স্থানীয় রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক আবদুর রহিমকে ৪০ হাজার টাকা এবং পাঁচলাইশ থানার সামশুল হুদাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করতে পারলে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর (মহানগর) কার্যালয়ের পাহাড় কাটার নথিপত্রে থাকা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১২৩টি পাহাড় কাটা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
চট্টগ্রামে পাহাড় এখন দখলবাজদের নজরে। প্রতিনিয়ত পাহাড় দখল করে বসতি স্থাপন, ইমারত নির্মাণ করছে দখলবাজরা। বেসরকারি দখলদার তো আছেই, সেই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও পাহাড় কাটায় জড়িত।
পাহাড় কাটা প্রতিরোধে সর্বসাধারণের সচেতনতা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্ষমতা বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রাম পাহাড়শূন্য নগরীতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে চট্টগ্রামে দুই শতাধিক মানুষ পাহাড়ধসে মারা গেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ২০০৭ সালে পাহাড়ধসের ঘটনায় ১২৮ জনের প্রাণহানি হয়। সে সময় পাহাড়ধস প্রতিরোধ, পাহাড় কাটা বন্ধ এবং পাহাড়ে বসতি স্থাপন না করার জন্য জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।
সাননিউজ/ জেআই