নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি মহানগর যুবলীগ নেতা মমিন উদ্দিন কালু। তিনি একই সাথে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি।
শনিবার (২১ আগস্ট) জানান মমিন উদ্দিন কালুর শ্যালক আরিফুর রহমান। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলায় যুবলীগ নেতা মমিন উদ্দিন কালু ৪৬ নম্বর আসামি।
তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মমিন উদ্দিন কালুর বাসায় একটি গাড়িতে কয়েকজন লোক যান। তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে কালুকে তুলে নিয়ে যান।
তবে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউএনওর সরকারি বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার ৪৬ নম্বর আসামি মমিন উদ্দিন কালু। তিন গ্রেফতার হয়েছেন, এমন তথ্য আমাদের জানা নেই বলে মন্তব্য করেন ওসি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের অভিযান বন্ধ করে সকালে অভিযান চালাতে বলেন।
কিন্তু সেটি না মেনে ইউএনওর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সিটি করপোরেশনের কর্মী এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালান। এ সময় ইউএনওর নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট বিকেলে (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হয়। নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েক শত জনকে আসামি করে আলাদা দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
একটি মামলার বাদী হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান নিজে। অপরটির বাদী পুলিশ। এই মামলায় ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই মামলাতেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।