মজনু নোয়াখালীর স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। তার কয়েকটি দাঁত নেই। ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রঙ শ্যামলা, গড়ন মাঝারি- এসব বর্ণনার ওপর নির্ভর করে তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।ভিকটিমের মোবাইলটি ধর্ষণের পর ছিনতাই করে সে অরুণা নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে সেই মোবাইলটি তিনি অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে। সে ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে র্যাব। সে সূত্র ধরেই মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বুধবার রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
বিফ্রিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম জানান, নির্যাতিত ছাত্রীর দেয়া তথ্য মিলিয়েই মজনুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতারের পর সব স্বীকার করেছে মজনু। এবং ধর্ষণের পর সে যে ওই ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টাও করেছিল তাও স্বীকার করেছে।
কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া যুবক মজনু আগেও একাধিকবার ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।