নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।
এই ব্যক্তি এর আগেও বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করেছে বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মজনুকে র্যাবের কাওরানবাজারস্থ মিডিয়া সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি নোয়াখালী। সে পেশায় ফুটপাতের হকার। ওই এলাকায় হকারি করার পর রাতে আশপাশেই থাকে। সে পেশায় নিজেকে দিনমজুর বলে দাবি করলেও ছিনতাই ও চুরির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে সে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
মজনু নোয়াখালীর স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। তার কয়েকটি দাঁত নেই। ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রঙ শ্যামলা, গড়ন মাঝারি- এসব বর্ণনার ওপর নির্ভর করে তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিফ্রিংয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম জানান, নির্যাতিত ছাত্রীর দেয়া তথ্য মিলিয়েই মজনুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতারের পর সব স্বীকার করেছে মজনু। এবং ধর্ষণের পর সে যে ওই ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টাও করেছিল তাও স্বীকার করেছে।
বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর শেওড়া এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাবের মিডিয়া শাখার এই পরিচালক।
সান নিউজ/সালি