নিজস্ব প্রতিবেদক:
খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের জন্য ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
১৩ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এমন অনিয়ম বা দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত জিও (অফিস আদেশ) জারি করা হয়েছে।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে চাল বিতরণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনার আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, কিছু কিছু জায়গায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি হচ্ছে। এরইমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনিয়ম বা দুর্নীতির বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
সান নিউজ/সালি