নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে যাওয়ার পথে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী ছাত্র-জনতা’র মিছিলে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘অযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে তারা।
রাজধানীব্যাপী এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দাবি উঠেছে, সকল ধর্ষকদের সর্বোচ্চ সাজা ও সেই রায় কার্যকরের। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কাকরাইল মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে সমবেত হন আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগ মোড়ে ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে গণজমায়েত করে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন কবি, লেখক, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা।
মিছিলে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় সান নিউজকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীদের ধরেছে। নোয়াখালীর ঘটনায় আমরা দেখেছি, ৩২ দিন পর ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হলে তাদেরকে ধরা হয়েছে। এই অপরাধীরা যে পরিমাণ সাহসের সঙ্গে কাজটি করেছে, তাতে বোঝা যায় এরা দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর নিরপেক্ষ থাকার কথা ছিল, মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ। এই দেশে কোনো নারী পুলিশের কাছে বিচার চাইতে যেতেও ভয় পায়। এ কারণেই ৩২ দিন পর্যন্ত এই নির্মম ঘটনা চাপা থাকল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছেন। এর আগে তিনি বলেছেন, সব দেশেই ধর্ষণ হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। আমরা অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি।
অনিক রায় জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে আগামীকাল সকাল ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
সান নিউজ/ বিএম