নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজা কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জারি করা রুলে ওই ব্যবসায়ীকে দেয়া অর্থদণ্ডের অর্থ কেন ফেরত দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিব, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও সারওয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিক।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে অভিযান পরিচালনার সময় জব্দ করা ১৫ লাখ টাকাও ফেরত দেয়ার আর্জি জানানো হয়। নোটিশে আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিব, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও সারওয়ার আলমকে বিবাদী করা হয়।
ওইদিন দুপুরে নওয়াবপুরের এম এম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মাকসুদুল আলম মাসুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে ১৪ দিনের মধ্যে এম এম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মাকসুদুল আলম মাসুদকে করা জরিমানার ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে এবং তার সাজার রায় বাতিল করতে বলা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হবে। সে অনুযায়ী নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করা হয়।
রিটে বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪১ নম্বর ধারায় সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, ৪৩ নম্বর ধারায় এক লাখ টাকা, ৪৪ নম্বর ধারায় এক লাখ টাকা, ৫০ নম্বর ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে তাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
রিটে আরও বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে নিম্নমানের পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বিএসটিআইয়ের নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। সুতরাং নিম্নমানের পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার এখতিয়ার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেই।
সান নিউজ/ বিএম