প্রশান্ত কথা
৩ কোটি টাকার তেল পুড়িয়েও সচল রাখা গেলো না শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল। বন্ধই রয়েছে ফেরি। মূলত ডুবোচর আর নাব্যতা সংকটে বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এ নৌ-রুটে চলাচল। এতে করে দুই পাড়ের হাজার হাজার যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিডবোট, লঞ্চ ও ট্রলার দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্য যাচ্ছেন।
এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা মনে করেন, শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ী নৌরুটে নাব্যতা সংকট নিরসনে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে তোলা পলিমাটি আশেপাশে ফেলায় কোনো উপকারই হচ্ছে না। বরং আরও চর জেগে চ্যানেলগুলো বাধাগ্রস্ত হয়ে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
গত একমাস ধরে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার মেশিনগুলো পলি কেটে তা ফেলা হয়েছে পদ্মার চরের খুবই কাছে ও চ্যানেলের আশেপাশেই। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, উল্টো কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও পলি জমে নাব্যতা সংকট ও ডুবোচর দেখা দিচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজারগুলো যেখানে ড্রেজিং করেছে তার পাশেই পলিমাটি ফেলেছে, যা স্থানীয়দের কাছেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব উঁচু কোনো জায়গাও নেই।
নৌ-যান চলাচলের বৃহত্তর স্বার্থে প্রতি বছরই চরের পাশেই পলি ফেলতে হচ্ছে। এজন্যই এতো টাকা খরচ করেও কাজের কাজ হচ্ছে না কোনোভাবে। সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করলে হয়তো সুফল পেতেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। পরিকল্পিতভাবে কাজ হোক, এটাই সকলের কাম্য।
সান নিউজ/পিডিকে/ এআর