প্রশান্ত কথা:
শুভ মহালয়া আজ ।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা।শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনকেই মহালয়া বলে।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ঢাকের বাজনা কাসর ঘন্টা,শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনি ও প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। চন্ডি পাঠ করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। করোনার কারণে এবারের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন । ভক্তরা টেলিভিশনে যেন দেবি আবাহন দেখতে পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহালয়া শব্দের র্অথ অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে মহান+আলয় =মহালয়। সঙ্গে স্ত্রীকারাত্মক আ যুক্ত হয়ছে। আবার মহ শব্দের অর্থ পাই পুজা এবং উৎসব। অর্থাৎ মহালয়া একটি অর্থে দাঁড়ায় পুজা বা উৎসবের আলয়। অন্যদকি, মহালয়া বলতে পিতৃলোককে বোঝায়। যখন বেদিহী পৃত্রিপুরুষ অবস্থান করনে। সক্ষেত্রে পৃত্রিলোককে স্মরণরে অনুষ্ঠানই মহালয়া।
পুরাণ মতে, এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়া মানেই আর ৬ দিন পর শুরু মায়ের পূজার। হিসাব মতে মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার আগমনী ধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলেও এবার ৬ দিন পরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে না। আশ্বিন মাস মল (মলিন) মাস হওয়ার কারণে এবার দুর্গাপূজা শুরু হবে প্রায় একমাস পর (কার্তিক) মাসে আগামী ২১ অক্টোবর (বুধবার) থেকে।
যা চন্ডি মধুকৈটভারী, দৈত্য দলনী, যা মহিষমর্দিনী, যা দূর্গে চন্ড মুন্ডোমালিনী,যা রক্ত বিজশ্বরী,শক্তি সুন্দরী সুন্দর দৈত দলনী—যা—। আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেঁজে উঠেছে আলোক মঞ্জিল, ধরনীর বর্হিআকাশে-অন্তরিত মেঘমালা, প্রকৃতির অন্তর আকাশে জাগরিত জোর্তিময়ী জগত্মাতার আগমন বার্তা, আনন্দময়ী মহামায়ার পদ্ধধ্বনি অসিম ছন্দে বেজে ঊঠে রুপলোক ও রশলোকে আনে নবভাব মাধুরীর সঞ্জিবন, ত্রাহি আনান নন্দিতা শামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে-মৃন্ময়ীকে আবাহন। মহালয়ার পর প্রতিপদে যে বোধন হয় সে সময় সংকল্প করে দুর্গাপূজার আয়োজন চলে। একে বলে কল্পরম্ভা, যদিও ষষ্ঠি থেকে পূজার প্রধান কার্যক্রম শুরু হয় তাই বলা হয় ষষ্ঠাদিকল্পরম্ভা। এবং সপ্তমী থেকে বিগ্রহতে। প্রতিপদ থেকে শুধু ঘটে পূজো ও চন্ডী পাঠ চলে।
আজ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তেমন জনসমাগম ছিলো না । স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংক্ষিত আরো সকল আনুষ্ঠনিকা পালন করা হয়। যে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে বাংলাদেশে প্রথিতযশা শিল্পীরা তার মধ্যে উল্লেখ্যে-কিরণ চন্দ্র রায়,চন্দনা মজুমদার দেবলীনা সুর, বিজন মিশ্তী,নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য নন্দন শিল্পী গোষ্ঠ। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তাপসী রায়। অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষনা করেন কিশোর মন্ডল সাধারণ সম্পাদক মহানগর র্সাবজনীন পুজা কমিটি।
সান নিউজ/পিডিকে