আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য দেশপ্রেমের স্বাক্ষরবহন করে কৃষ্টি, সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপর। তারই বাস্তবিক রুপ ফুটে উঠে ভাস্কর্যের মাধ্যমে। সেজন্য দেশে দেশে নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে নির্মাণ করা হয়েছে অনেক ভাস্কর্য।
তার ব্যতিক্রম নয় মুসলিম প্রধান দেশগুলোও। ইতিহাসের বিখ্যাত মানুষদের অবদান স্মরণ করতে এ দেশগুলোতে নানা সময়ে তৈরি হয়েছে নানা ভাস্কর্য।
উটের ভাস্কর্য, সৌদি আরব : ইসলামের পুণ্যভূমি সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। সৌদির জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৭০ লাখ। এ দেশের প্রথম শাসক ও রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ আল সউদের নামানুসারে এ দেশের নামকরণ করা হয়েছে সৌদি আরব।
ভাস্কর্য বা সৃষ্টিশীল কাজের মধ্য দিয়ে নিজ এ অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরতে পিছিয়ে নেই সৌদি আরব। সভ্যতার অংশ হিসেবে শুরু থেকেই দেশটিতে উট ও ঘোড়ার প্রচলন ছিল। বিভিন্ন ভাস্কর্যের মাধ্যমে অতীতের এসব চিহ্ন ধরে রেখেছে দেশটি । গত বছর সৌদি আরবের তায়েফে কিং ফয়সাল নামের পার্কে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উটের ভাস্কর্য।
১০ মিটার লম্বা ও ৫ মিটার প্রশস্ত এই উটটি বানানো হয়েছে স্টিল দিয়ে। জ্যামিতিক আকারের এই উটে ব্যবহার করা হয়েছে ৫১ হাজারেরও বেশি লাইট। সন্ধ্যার পর সবগুলো লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হলে উটটি সম্পূর্ণ আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এছাড়া রাজধানী জেদ্দার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে আরও রয়েছে নগরীতে মুষ্টিবদ্ধ হাত, হাংরি হর্স, মানব চোখ, মরুর বুকে উটের ভাস্কর্য।
সুলতান সালাদিন, সিরিয়া : অন্যান্য স্বৈরতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মতো সিরিয়া জুড়ে রয়েছে হাফিজ আসাদের মূর্তি। বর্তমানে সেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে চলছে গৃহযুদ্ধ। তার রেশ আছড়ে পড়েছে হাফিজ আসাদের ভাস্কর্যেও। বিদ্রোহীদের নাগালে এলে ভূপাতিত হতে হয় হাফিজ আসাদের মূর্তিকে। সিরিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ভাস্কর্যটি হলো বীর মুসলিম সেনাপতি সালাদিন স্মরণে নির্মিত ‘স্ট্যাচু অব সালাদি’।
ব্রোঞ্জের তৈরি এই ভাস্কর্যটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কেন্দ্রস্থল সিটাডেল অব দামেস্কে অবস্থিত। ৪ মার্চ, ১৯৯৩ সালে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাফিজ আসাদ কুর্দি বংশোদ্ভূত সুলতান সালাদিনের ৮০০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। ঐতিহাসিক ভাস্কর্যটির ভাস্কর আবদুল্লাহ-আল-সাঈদ।
মহাকবি ফেরদৌসি, ইরান : ফরাসি সাহিত্যে ফেরদৌসিকে সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার অবদানকে স্মরণীয় রাখার জন্য ইরানের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল ভাস্কর্য। ইরানের রাজধানী তেহরানে ফেরদৌসি স্কয়ারে গেলেই শান্ত শুভ্র মহাকবি ফেরদৌসির সঙ্গে দেখা হবে যে কারও।
তেহরানের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থাপনার নাম মিলাদ টাওয়ার। ১৫০০ ফুট উঁচু এই ভবনটি বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘ ভবন। এই ভবনের সামনেও ফেরদৌসির একটি ভাস্কর্য আছে, যেখানে তাকে দেখলে মনে হবে তিনি সেখানে বসে যেন পুরো শহরকে নীরবে পর্যবেক্ষণ করছেন। মিলাদ টাওয়ারের ভেতরেও ফেরদৌসির একটি মোমের ভাস্কর্য আছে। ইরানের তাবরিজ শহরের ব্লু মস্ক এবং লরেস্টান রাজ্যের ডেলফানেও দেখা মিলবে ফেরদৌসির।
ইরানের তুস নামের শহরে জন্ম নিয়েছিলেন এই মহাকবি। সেখানে রয়েছে কবির সমাধি। ১৯২৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৩৪ সালে। ১৯৬৪ সালে সমাধিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। সমাধির ভেতরের দেয়ালে শাহনামার কবিতা ও বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা অনুসারে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সমাধির বাইরের দেয়ালেও শাহনামার কবিতা লেখা আছে।
নির্মাণের পর, এই সমাধির সামনে সাদা মার্বেল পাথরে নির্মাণ করা হয় ফেরদৌসির আরও একটি ভাস্কর্য। ফেরদৌসির লেখা মহাকাব্য ‘শাহনামা’ একইসঙ্গে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষাভাষী মানুষের জাতীয় মহাকাব্য। ৩০ বছরেরও বেশি সময় নিয়ে তিনি এই মহাকাব্য রচনা করেন যা ইরানের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ব্যাপক সমৃদ্ধ করেছে।
আল-বিরুনি ও ওমর খৈয়াম, ইরান : ওমর খৈয়ামের নাম আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। ইরানের একজন বিখ্যাত কবি হলেও তার অবদান ছিল গণিত, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ্যায়। বীজগণিতের নানা শাখায় তার অবদান রয়েছে। খৈয়ামের ভাস্কর্যটি প্রথম নির্মিত হয়েছিল ইতালিতে, ১৯৭২ সালে। নির্মাণকারী ছিলেন আবুল হাসান সিদ্দিকি।
পরে ন্যাশনাল আর্ট এসোসিয়েশনের নির্দেশে ভাস্কর্যটি ইরানের রাজধানী তেহরানের লালেহ পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়। যখনই ভাস্কর্যটির কোনোরকম ক্ষতি হয়েছে, ততবার সেটি ঠিক করেছেন আবুল হাসানের ছেলে ফেরেদুন সিদ্দিকি। আল বিরুনি একজন ইসলামিক স্কলার তো বটেই, জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং ইতিহাসেও রেখেছেন সফলতার স্বাক্ষর। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও মুক্তচিন্তার ধারক ছিলেন বিরুনি।
বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা এই মানুষটিরও ভাস্কর্য আছে লালেহ পার্কে। আল বিরুনির ভাস্কর্যটি বানানো হয়েছে পাথর ও ব্রোঞ্জ দিয়ে। এর নকশাকার মোহাম্মদ আলি মাহাদি। ১৯৯৪ সালে এটি পার্কে স্থাপন করা হয়। ইসলামি বিপ্লবের পর পৌরসভা থেকে আদেশ পেয়ে স্থাপন করা সবচেয়ে বড় মূর্তি ছিল এটিই। সাড়ে চার মিটারের ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে সময় লাগে দেড় বছর। হাতে অক্ষরেখা ঘূর্ণায়মান এমন দৃশ্য দিয়ে বিরুনির জ্যোতির্বিজ্ঞানে দক্ষতাকে বোঝানো হয়েছে।
ন্যাশনাল মনুমেন্ট, মালয়েশিয়া : আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে মালয়েশিয়ার সাফল্য এক কথায় চোখ ধাঁধানো। মুসলিম বিশ্বে ১৩তম অবস্থানের এই দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ। দেশটির ৬০.৪ শতাংশ মানুষই মুসলিম। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ভাস্কর্য ওয়াশিংটন মনুমেন্টের আদলে গড়া ন্যাশনাল মনুমেন্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চলা জরুরি অবস্থায় শহীদ হয়েছেন বেশ কয়েকজন মালয়েশিয়ান সেনা। তাদের সম্মানে সাতজন প্রতীকী বীরের প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে। ১৯৬৬ সালে ভাস্কর্যটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মালয়েশিয়ার হাউজ অব পার্লামেন্টের কাছে এটি অবস্থিত।
ব্রোঞ্জ দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্যটি ১৫ মিটার লম্বা। প্রতি বছর ৩১ জুলাই দেশটির প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল মনুমেন্টে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কামাল আতাতুর্ক, তুরস্ক : আধুনিক তুরস্কের জনক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক। তার নেতৃত্বে খেলাফত শাসনের অবসান ঘটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ এক আধুনিক তুরস্কের যাত্রা শুরু হয়। তুর্কি ভাষায় ‘আতা মানে জনক, তুর্ক‘ হচ্ছে তুরস্ক। তাই তাকে ‘আতাতুর্ক’ বলা হয়। পুরো তুরস্কজুড়ে কামাল আতাতুর্কের অনেক ভাস্কর্য রয়েছে। এসব দৃষ্টিনন্দন একেকটি ভাস্কর্যে ভিন্ন ভিন্নভাবে আতাতুর্ক এবং তুরস্কের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিবৃত করা হয়েছে।
এর মধ্যে একটি ভাস্কর্য আছে তুরস্কের আঙ্কারাতে। ১৯৫০ সালের আগে থেকেই এর অবস্থান এখানে। ১৯২৭ সালের ২৪ নভেম্বর এই ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। ব্রোঞ্জ নির্মিত আতাতুর্কের ভাস্কর্যটিকে কেন্দ্র করে আরও তিনটি মূর্তি আছে সেখানে। দুজন সেনা ও একজন নারী।
হাম্মুরাবি, ইরাক : বর্তমানে জনসংখ্যার হিসাবে মুসলিম দেশের মধ্যে অবস্থান ১২ তে হলেও ইসলামের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ হয়েছিল ইরাকেই। দেশটির জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ মুসলিম। ইরাক নানা ভাস্কর্যে সমৃদ্ধ বেশ আগে থেকেই। সাদ্দাম হোসেনের বিশাল আকারের ভাস্কর্যটি মার্কিন আগ্রাসনের পর ভেঙে ফেলা হয়। তাই বলে ভাস্কর্যহীন হয়নি ইরাক।
প্রচুর ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যের মালিক দেশটি। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ডানার ভাস্কর্যটি নজর কাড়ে যে কারও। বাগদাদের পাশে আল-মনসুর শহরে আছে মনসুরের (বাগদাদের প্রতিষ্ঠাতা) একটি বিশাল ভাস্কর্য। রয়েছে অনেক সাধারণ সৈনিকের ভাস্কর্যও। রাজধানী বাগদাদে বেশকিছু বিখ্যাত মূর্তির মধ্যে আছে ইন্টারন্যাশনাল জোনে হাম্মুরাবির মূর্তি।
অ্যাম্বুরাবিদের বিখ্যাত ষষ্ঠ রাজা হাম্মুরাবি খ্রিস্টপূর্ব ১৭৯২ অব্দে ব্যাবিলনের সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ১৭৫০ অব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন। হাম্মুরাবি কোডের জন্য খ্যাতিমান এ রাজা। আরব্য উপন্যাসের রহস্যে এখনো রহস্যময় বাগদাদ শহরের আবু নুয়াস স্ট্রিটে শাহেরজাদি পার্কে রয়েছে আরব্য উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাহেরজাদি এবং রাজা শাহরিয়ারের মূর্তি।
বিখ্যাত আলিবাবার বুদ্ধিমতী বাঁদী মর্জিনার বুদ্ধিতে কুপোকাৎ হয়েছিল ৪০ চোর। সেই মর্জিনার মূর্তির দেখা মিলবে বাগদাদে আলিবাবা স্কয়ারে আলিবাবা ফাউন্টেনে। এক কথায়, ইরাক এখনো ভাস্কর্য সৌন্দর্যে ভাস্বর।
ক্রাইস্ট ব্লেসিং, ইন্দোনেশিয়া : ইন্দোনেশিয়ার শহর মানাডোতে আছে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ভাস্কর্য ‘দ্য স্ট্যাচু অব ক্রাইস্ট ব্লেসি’। এটি খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের ভাস্কর্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০ মিটার পাহাড়ি উচ্চতায় এই ভাস্কর্যের অবস্থান। ছোট্ট এই শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে ভাস্কর্যটি দেখা যায়।
ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা এটি। ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৫০ মিটার, যার মধ্যে প্রস্থ ২০ মিটার। এটি ২৫ টন তন্তু, ৩৫ টন স্টিল দিয়ে তৈরি। মানাডোর চিত্রাল্যান্ডের আবাসিক এলাকার সামনেই অবস্থিত যিশুর ভাস্কর্য। বিশ্বজুড়ে যিশুখ্রিস্টের যে ৫টি বৃহৎ ভাস্কর্য আছে তার মধ্যে এটি একটি। এশিয়ার সেরা ১০ ভাস্কর্যের মধ্যেও এর নাম আছে।
মানাডো শহরে খ্রিস্টান প্রতিনিধিরা যখন আসা শুরু করে তখনই মূলত এই ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। নির্মাণকাজ শুরু হলেও বহু বছর পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে এর নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী সিপুত্র এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য এগিয়ে আসেন। তার সহায়তায় বিখ্যাত ইয়োগজাকার্তা ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানি ভাস্কর্য নির্মাণের কাজে হাত দেয়।
৩ বছর লাগে এটি নির্মিত হতে। এর নির্মাণে খরচ হয় ৫৪০ হাজার ডলার। ২০১০ সালে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। স্থাপনের পর থেকেই মানাডো পেয়েছে ভিন্ন এক নতুন মাত্রা। অন্যান্য ভাস্কর্যের মতো এটি সাধারণভাবে দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় বানানো হয়নি।
২০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো অবস্থায় ভাস্কর্যটি এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে, দেখে মনে হবে যেন যিশুখ্রিস্ট শূন্যে সবার উদ্দেশে আশীর্বাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সন্ধ্যার সময় আলোকসজ্জায় সজ্জিত ক্রাইস্ট ব্লেসিং ভাস্কর্যটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, পাকিস্তান : পাকিস্তানের লাহোরের আলহামরা ইউনিভার্সিটিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর একটি বিশাল ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্যটি ফাইবার দিয়ে বানানো। দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এমন মানুষের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে দেশটিতে। সে তালিকাতেই স্থান পেলেন জিন্নাহ। ২০১৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা রিজওয়ান হায়দার এই ভাস্কর্যটির নকশা করেছেন। এটি নির্মাণে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ রুপি। জিন্নাহর আরও একটি ভাস্কর্য আছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আলহামরা কালচারাল কমপ্লেক্সে। এটিও রিজওয়ানের নকশা করা। শীত-গ্রীষ্মসহ সব আবহাওয়া সামলে এই ভাস্কর্য অন্তত ৫০ বছর এমনই থাকবে।
সান নিউজ/এসএ