ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। অ্যাবে বলেছেন, স্বাস্থ্যজনিত কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
অ্যাবে বলেছেন, তিনি চান না সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তার অসুস্থতা বাধা হয়ে দাঁড়াক, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
মেয়াদ পূর্ণ করতে না পারার জন্য তিনি জাপানের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাবে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই একটি রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জানিয়েছেন, অ্যাবের স্বাস্থ্য ভালো। কিন্তু দুই বার হাসপাতালে যাওয়ায় গুজব সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে একবার হাসপাতালে সাড়ে সাত ঘণ্টার বেশি সময় কাটানোর ফলে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে তার রাষ্ট্র পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালনের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন অ্যাবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা নেতায় পরিণত হয়েছেন। তবে সম্প্রতি তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। সর্বশেষ জনমত জরিপে তা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।
রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদী হিসেবে অ্যাবের পরিচিতি ছিল। তার আগ্রাসী অর্থনৈতিক নীতি অ্যাবেনোমিক্স হিসেবে পরিচিত। তার শাসনামলে জাপানের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী হয়েছে এবং সামরিক ব্যয় বেড়েছে। তবে তিনি সংবিধানের ৯ ধারা সংশোধন করতে পারেননি। ওই ধারায় আত্মরক্ষা ছাড়া সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।