নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস ফিরে আসতে পারে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এরিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। যার জেরে সাময়িক স্বস্তির পরে ফের করোনা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দ্বিতীয় দফায় আরো ভয়াবহ চেহারা নিতে পারে করোনা।
বাংলাদেশে আবার সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে এবং সেপ্টেম্বরে মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউটি আসতে পারে। এইরকম ধারণার পেছনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট কারণের কথা বলছেন। এর মধ্যে রয়েছে- রাস্তাঘাট, গণপরিবহন ও শপিংমলসহ কোন জায়গাতেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। তাদের আশঙ্কা, অবহেলায় সেপ্টেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসলে বাড়তে পারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার।
থেমে নেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তারপরও মাস্ক নেই কারো মুখে। নেই স্বাস্থ্যবিধির মানার তোয়াক্কা। চলাফেরায় সামাজিক দূরত্ব না মানার দৃশ্য সব জায়গায়। মার্কেটেও একই অবস্থা। দর্জির দোকানে মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে কাজ করছে ৫ থেকে ৬ জন। খাবারের দোকানেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউইয়ের একটি বড় কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে যে, মানুষ আবার বিদেশ থেকে দেশে আসছে এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেয়ার কারণে লোকজনের যাওয়া-আসা বেড়েছে। একদিকে যেমন বিদেশ থেকে লোক আসছে, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণভাবে ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে কিংবা ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসা এই সমস্ত ঘটনাগুলো বাড়ছে। এর ফলে আমাদের নতুন করে আক্রান্ত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং নতুনভাবে আক্রান্ত শুরু হলে আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ আসা অনিবার্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অপরদিকে ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।
তাদের মতে, মৃত্যু ও আক্রান্ত জুনে সর্বোচ্চের পর আগস্টে কমেছে। সেপ্টেম্বরে আসতে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এখন থেকে সতর্ক না হলে আবার বাড়বে সংক্রমণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যেখানে চীন-ইতালিতে কমে গিয়েছিল, সেখানে আবার দ্বিতীয়বার হয়েছে। বাংলাদেশেও আবার একটা দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে যা সেপ্টেম্বর থেকে শীত পর্যন্ত যে কোন সময় আসতে পারে।
দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। এ পর্যন্ত দেশে মোট চার হাজার ৮২ জনে মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তিন লাখ দুই হাজার ১৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে।