ভোলা সংবাদদাতা : ভোলার মনপুরায় জবাইকৃত হরিণের ১৫ কেজি মাংসসহ এক হরিণ শিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এই সময় সংঘবদ্ধ চক্রের অপর পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ভালুকায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ২ টায় আটককৃত এক হরিণ শিকারীসহ পালিয়ে যাওয়া চক্রের অপর পাঁচ সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করে পুলিশ।
উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশের পাকা সড়কের ওপর থেকে রাত সাড়ে ৩ টায় মাংসসহ হরিণ শিকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটককৃত হরিণ শিকারী হলেন, মোঃ কালু (২৮)। তিনি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা গেদু সর্দারের ছেলে।
আরও পড়ুন : স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
এছাড়াও পালিয়ে যাওয়া অপর সদস্যরা হলেন, মোঃ শাখাওয়াত (৩৩), মোঃ শাহীন (২৫), সামসুল আলম (৪২), ফারুক ওরফে কালা ফারুক (২৫) ও মোঃ কুট্টি (৪০)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একদল হরিণ শিকারী বদনার চর থেকে হরিণ শিকার করে হরিণের মাংস নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ার করে নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস. আই ইয়াকুবের নের্তৃত্বে পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩ টায় উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশে সড়কে অভিযান চালায়।
এই সময় ব্যাগ হাতে একদল লোক যাওয়ার সময় পুলিশ চ্যালেঞ্জ করলে ব্যাগ ভর্তি জবাইকৃত হরিণের ১৫ কেজি মাংসসহ কালুকে আটক করে। এই সময় চক্রের অপর ৫ সদস্য পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : দোকান পুড়ে ছাই, ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি
পরে পুলিশের জেরার মুখে আটককৃত হরিণ শিকারী কালু চক্রের অপর ৫ সদস্যের নাম জানায়। পরে পুলিশ আটককৃত হরিণ শিকারী কালু সহ চক্রের অপর ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করে।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারীকে আটক করে।
আরও পড়ুন : কামারখাড়া ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত
আটককৃত হরিণ শিকারীর তথ্যে চক্রের অপর পাঁচ সদস্যসহ হরিণ শিকারীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পালিয়ে যাওয়া চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/এইচএন