চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল পুলিশের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে ঘিরে রেখেছে আর তিনি খাবার ছিটিয়ে পাখিদের খাওয়াচ্ছেন।
এমন একটি ভিডিও বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। এরপর থেকেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন জায়গায়।
এমনই একটি ঘটনার জন্ম হয় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায়। করোনার প্রভাবে এক ঝাঁক অভুক্ত পাখির কিচিরমিচির শব্দে যেন প্রকাশ পাচ্ছে ক্ষুধার আর্তনাদ।
পথচারীদের কেউ পাখিদের আর্তনাদ না বুঝলেও বুঝলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। তিনি কিছু শুকনা খাবার নিয়ে এগিয়ে আসেন তাদের জন্য।
এই তো শুরু, তারপর থেকে তিনি যখনই শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় যান তখনই পাখিগুলো তাকে ঘেরাও করে খাবারের প্রত্যাশায়।
এ ব্যাপারে সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, 'করোনার সংক্রমণরোধে চুয়াডাঙ্গায় চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের রেস্তোরা ও খাবারের দোকান। শহরের এসব পাখিগুলো ওইসব হোটেল রেস্তোরার অবশিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতো। কিন্তু হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় খাবার সংকটে রয়েছে ওরা। সেখান থেকেই চিন্তা করে অভুক্ত পাখিদের জন্য কিছু শুকনা খাবারের ব্যবস্থা রাখছি।'
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে পাখিদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে চান তিনি।
আগেও পাখিদের খাবার দেয়া হতো জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, 'শহরের হাসান চত্বর এলাকায় একটি পুলিশ বক্স আছে। লকডাউনে যানবাহন ও মানুষের চাপ কম। তাই কাক-পক্ষীদের আনাগোনা বেড়েছে শহরে। সেইসঙ্গে বেড়েছে তাদের খাবার সংকট। জেলা পুলিশ বিষয়টিকে কখনও ছোট করে দেখে না। তাই প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি অভুক্ত এই পাখিদের বিষয়টিও নজরে আছে।'
পশু পাখিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর আনক্লেইম্ড বিস্ট এর সভাপতি বখতিয়ার হামিদ বিপুল জানান, 'বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। এখান থেকে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে।'
সান নিউজ/সালি