সান নিউজ ডেস্ক:
শেষ হচ্ছে আজ নিষেধাজ্ঞার দুইমাস। মধ্যরাতেই পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরতে নামার জন্য প্রস্তুত ভোলার মনপুরা ও চাঁদপুরের ৭১ হাজার জেলে।
মনপুরার ইউএনও তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে মেঘনায় মাছ শিকারে কোনো বাধা নেই। এছাড়া ইলিশ পরিবহন শিথিলযোগ্য।
কিন্তু এদিকে ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি পুরোদমে চললেও করোনাভাইরাসের কারণে নদীতে নামা যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত জেলেরা। একইসঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ সরবরাহ নিয়েও চিন্তিত আড়তদাররা।
এ নিয়ে জেলে সমিতির নেতারা জানান, এ উপকূলে নিবন্ধিত জেলে ১৩ হাজার ৯০৪ জন হলেও প্রকৃত জেলে ২০ হাজারের বেশি। মৎস্য অফিস জানায়, মার্চ-এপ্রিল ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনায় ইলিশের অভায়াশ্রম ঘোষণা ও মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার।
এদিকে মধ্যরাতে জাল ও নৌকা নিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে চাঁদপুরের ৫১ হাজার জেলে। করোনাভাইরাসের কারণে নদীতে নামা ও ইলিশ পরিবহণ নিয়ে চিন্তিত তারাও।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বলেন, সরকার নিবন্ধিত ৫১ হাজার জেলের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার ইলিশ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা নয়।
উল্লেখ্য, ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মেঘনা নদীর মতলব, উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার। ও পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। যার ৬০ কি.মি. পড়েছে চাঁদপুর এলাকায়।
সান নিউজ/সালি