খুলনা প্রতিনিধিঃ
এক দিকে ঝড়ের ধাক্কা আরেক দিকে করোনার পরিস্থিতির অবনতি, দুর্গতি যেন লেগেই আছে খুলনা বিভাগে। দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ৯ দিনের ব্যবধানে খুলনা ও বাগেরহাট প্রায় ৩ গুণ পজিটিভ রোগী বেড়েছে। আর সাতক্ষীরায় বেড়েছে ১৭ গুণ। তবে শুধু মাত্র মাগুরা জেলায় রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল আছে।
গত ১৬ মে খুলনা জেলায় করোনা পজিটিভ ছিল ১৯ জন। আর ২৫ মে মাত্র ৯ দিনে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ জনে। সাতক্ষীরায় ১৬ মে ছিল ২ জন পজিটিভ। আর ২৫ মে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। একই সময়ে বাগেরহাটে ৭ জন থেকে পজিটিভের সংখ্যা বেড়ে ঠেকেছে ২৩ জনে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আম্পান ঝড়ের কারণে বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন গাদাগাদি করে থাকার কারণে এসব জেলায় করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক রাশিদা সুলতানা জানান, গত ১০ মার্চ থেকে এখানে করোনা আক্রান্তের তালিকা করা শুরু হয়। ৭ এপ্রিল থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত এ বিভাগে ২০২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গত ২৫ এপ্রিলের প্রতিবেদনে এ বিভাগে পজিটিভ ছিল ৫১ জন। আর ২৮ এপ্রিলের প্রতিবেদনে পজিটিভ হয় ১১২ জন। আর ৯ মে'র প্রতিবেদনে পজিটিভ শনাক্ত হয় ২০২ জন।
তিনি জানান, ১৪ মে দেওয়া প্রতিবেদনে করোনা পজিটিভ ছিলেন ২৫৪ জন এবং ১৬ মে দেওয়া প্রতিবেদনে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০১ জন। এর ৯ দিন পর ২৫ মে দেওয়া প্রতিবেদনে করোনা পজিটিভ এখন ৪২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) বিভাগে ১৪ জন নতুন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ৫ জন, বাগেরহাটে ৪ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, যশোরে ১ জন, কুষ্টিয়ায় ১ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ২ জন রয়েছেন। আর ১৭৫ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৪ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৯ জনকে।
উল্লেখ্য যে, গত ১০ মার্চ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ৪২১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/ বি.এম.