আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুসলিম প্রধান দেশ সৌদি আরবে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদ। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। তবে কর্মক্ষেত্রে বেড়েছে নারীদের অংশগ্রহণ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে খনিতে ধস, নিহত ২৫
সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস নারীবিষয়ক প্রতিবেদন-২০২২ প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যানটিতে দেখা গেছে, তেলসমৃদ্ধ এ দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালে সৌদি আরবে সাড়ে তিন লাখের অধিক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
দেশটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব নারীর বয়স ৩০ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বেশি ডিভোর্স হয়েছে। ৩৫ থেকে ৩৯ বছরের নারীরা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরছেন নওয়াজ
একাধিক জরিপের মাধ্যমে সৌদি আরবের নারীদের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এ মুসলিম প্রধান দেশটিতে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৩৯ জন এবং ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীর সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখের বেশি।
সৌদি আরবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে বেড়েছে নারীদের অংশগ্রহণ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশটিতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ২৭
এছাড়া পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানা গেছে সৌদি আরবে বেকার নারীর সংখ্যা অনেক কমেছে। এছাড়া অর্থনেতিক ক্ষেত্রে ও শেয়ার বাজারেও তাদের অবদান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরব, সরকারিভাবে সৌদি আরব সাম্রাজ্য (আল-মামলাকাতুল-আরাবীয়াতুস-সূঊদিয়া) মধ্যপ্রাচ্যের একটি সার্বভৌম আরব রাষ্ট্র।
২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি আয়তনের এদেশটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ। সৌদি আরবের উত্তরে জর্দান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত ,পূর্বে কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থিত, দক্ষিণ-পূর্বে ওমান ও দক্ষিণে ইয়েমেন অবস্থিত।
আরও পড়ুন: দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা
সৌদি আরব মূলত ৫টি আমিরাতে/রাজ্য বিভক্ত। মধ্যাঞ্চলীয় আরব নজদ, উত্তরাঞ্চলীয় আরব আরার, দক্ষিণাঞ্চলীয় আরব আসির, পূর্বাঞ্চলীয় আরব আহসা ও পশ্চিমাঞ্চলীয় আরব হেজাজ।
১৯৩২ সালে এই ৫টি রাজ্য দখল করে সৌদি আরব সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ১৯০২ সালে নজদ, ১৯১৩ সালে আহসা, ১৯২১ সালে আরার, ১৯২৫ সালে হেজাজ ও ১৯৩০ সালে আসির এই ৫টি রাজতান্ত্রিক দেশ দখল করে সৌদি আরব সাম্রাজ্য গঠন করে।
দেশটি পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এবং আইনের ক্ষেত্রে ইসলামি আইনের অনুসরণ করা হয়। ইসলামের দুই পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর কারণে সৌদি আরবকে দুই পবিত্র মসজিদের দেশ বলা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
দেশটিতে ৩,৪৭,৬০,০০০ জন বাস করে যার মধ্যে আড়াই কোটি সৌদিয়ান আর ৯৭,৬০,০০০ জন বিদেশী।
পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সর্বোচ্চ তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন মজুদকারি দেশ। এই তেলের কারণে দেশটির অর্থনীতি যেমন বাড়ছে তেমনিভাবে এর মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকেও উপরের দিকে।
সান নিউজ/এইচএন