চট্টগ্রাম ব্যুরো :
ছবি এডিট করে এক কিশোরীর নগ্ন ছবি বানায় জাহাঙ্গীর (২২)। পরে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও দুই বার ধর্ষণের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর। দুই বারই মরিচের গুঁড়া মেরে কিশোরী নিজেকে রক্ষা করে।
সবশেষে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরী ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সিএমপির ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য জানান।
ওসি বলেন, কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা ফলের ব্যবসায়ী এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভিকটিমকে বিরক্ত করত। কিন্তু ভিকটিম তাকে গুরুত্ব দিত না। একদিন কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর কিশোরীর বাসায় চলে আসে। এ সময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভিকটিমের ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীর এই নগ্ন ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে।
ওসি জানান, এ ঘটনার পর ভিকটিম তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই বলেনি। কিছুদিন পর আবারও জাহাঙ্গীর আসে। কিন্তু তাকে দরজায় আসতে দেখেই ভিকটিম মরিচের গুঁড়া নিয়ে তার মুখে মেরে দেয় এবং সেদিনের মতো নিজেকে রক্ষা করে। এরপর জাহাঙ্গীর আরও একবার আসে। ভিকটিম একই কায়দায় মরিচের গুঁড়া মেরে আত্নরক্ষা করে। মরিচের গুঁড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পেরে জাহাঙ্গীর অন্যভাবে কিশোরীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে সোমবার ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানালে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে। কিন্তু সে থাকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সান নিউজ/আইকে