নারী

পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো চিকিৎসক যা বললেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীতে দায়িত্বরত পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে এক নারী চিকিৎসকের বাকবিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

সাঈদা শওকত জেনি নামে ওই চিকিৎসক জানান, ঘটনাটি নিয়ে তিনি বেশ হতাশ। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিতর্কে দুঃখ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেশ ছেড়েই চলে যাবেন।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেনি বলেন, ‘আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। ডাক্তার হিসেবে যদি এই সম্মান পাই, তবে আমার কিছু বলার নাই। আমার বাবা বীর বিক্রম। আমার বিদেশে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। আমার আব্বা এই দেশে রেখেছে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘আমার গায়ে সাদা এপ্রোন, আমার গাড়িতে বিএসএমএমইউ এর ডিরেক্টররের সাইন করা পাস, বিএসএমএমইউ এর লোগো আর তারা আমাকে বলে আপনার আইডি কার্ড কোথায়? আপনার মুভমেন্ট পাস কোথায়? ডাক্তারের আইডি কার্ড, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস! কোথায় সম্মান করা হবে, সেখানে আমাকে বলে আমি নাকি পাপিয়া।’

ডা. জেনি বলেন, ‘করোনার সময় যেখানে আমাদের সম্মান করে মাথায় তুলে রাখবে, সেখানে এই দিল আমাকে এই দেশ! আমি দুঃখে শেষ হয়ে যাচ্ছি। এই দেশ ছেড়ে যাব তো আমরা। সবাই ছেড়ে যাবে এই দেশ।’

সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকেও প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেও আক্ষেপ করেন এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোন সাংবাদিক আমাকে একটু সাহায্য করেনি। কেউ আমার জন্য এগিয়ে আসেনি। অনেক সাংবাদিক ভাই ছিল। উল্টো তারা বলছে ডাক্তার ভাইরা খুব খারাপ। এই করোনাকালে আমি পিপিই পরে ছিলাম। আমার জান শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আমি আসতেছি বাসায়। তারা আমাকে রাস্তার মধ্যে থামিয়ে হয়রানি করল কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরা পুলিশকে বাহবা দিয়েছে।’

জেনির ভাষায়, ‘আমার সাংবাদিক ভাইদের উপর বেশি মন খারাপ। এই জাতি আমাকে ডাক্তার বানিয়েছে। আমি করোনাকালে সার্ভিস দিতে গিয়ে যে হয়রানির স্বীকার হলাম আমার আর দুঃখ রাখার জায়গা নেই।

ওখানে একজন সাংবাদিক ছিল যে ভিডিও করে কেটে কেটে সাইটে ভিডিও আপলোড করছে। সে আমাকে বলে ডাক্তাররা খুব খারাপ। তাইলে করোনা হলে তারা কোথায় যাবে?‘

তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ বলেন, ‘ওই ডাক্তারই আমাদের বলেছিলেন, আপনারা গণমাধ্যমের লোক। আপনারা ভিডিও করেন না কেন? কিন্তু পরে তিনিই আরও উত্তেজিত হয়ে উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেন। আমাদের কোনো গণমাধ্যমকর্মী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি।’

প্রসঙ্গত, রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনাকালীন ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে এলিফ্যান্ট রোডে তার গাড়ি থামান নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এ কাইয়ুম। তবু তার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন দুইজনই। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও।

এক পর্যায়ে ওই চিকিৎসক পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করতে থাকেন এবং ‘হারামজাদা’ বলে গালি দেন। পুরো বিষয়টি ভিডিও করেন সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

সাননিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বোয়ালমারীতে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার

কামরুল শিকদার বোয়ালমারী ( ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরে গৃহব...

আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থকদের হামল...

মাটিরাঙ্গায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গ...

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ...

আইনজীবী হত্যার বিচার দাবিতে ইবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

জিসান নজরুল, ইবি : চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে...

চট্টগ্রামে সংঘাতের ঘটনায় মামলা

জেলা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্...

সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...

ফের স্বর্ণের দাম বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এবা...

বোয়ালমারীতে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার

কামরুল শিকদার বোয়ালমারী ( ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরে গৃহব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা