লাইফস্টাইল ডেস্ক : ত্বকে ফাটা দাগ মানেই বিরক্তিকর সমস্যা। এতে সৌন্দর্য নষ্ট হয়, সঙ্গে কমতে থাকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও। এই দাগ বা স্ট্রেচমার্কস ত্বকে কোনো কারণে টান পড়লে হতে দেখা যায়।
তবে গর্ভবতী নারীদের পেটে এই দাগ বেশি পড়ে থাকে। কারণ গর্ভবতী মায়ের পেটের ভেতরে আস্তে আস্তে একটি শিশু বড় হতে থাকে। তাই পেটের ত্বকেও ধীরে ধীরে টান পড়ে বলে ত্বকে এ দাগগুলো পড়ে। তবে এ দাগ পড়ার জন্য আসলে শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স দায়ী। কিছু হরমোন ত্বকে টান পড়লেও যেন ত্বক ফেটে না যায় তার জন্য কাজ করে, শরীরে সেসব হরমোনের উৎপাদন কম থাকলে এই দাগগুলো পড়ে। শুধুমাত্র মোটা মানুষের এ দাগ পড়ে বা নারীদেরই পড়ে তা কিন্তু নয়। অনেক হালকা পাতলা মানুষেরও এ দাগ হতে পারে।
নানা ধরনের লেজার বা সার্জারি চিকিৎসা আছে এই দাগ দূর করার জন্য। তবে সেসবে আছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়। তাছাড়া নানা ধরনের প্রসাধনীও হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই এই দাগ মুছে দেয়া সম্ভব। অনেকের ক্ষেত্রে দাগ পুরোপুরি মুছে না গেলেও, ত্বকের স্বাভাবিক রঙের সঙ্গে মিশে যাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক পেটের ফাটা দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে-
ডিমের সাদা অংশ
কুসুম বাদে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার তা স্ট্রেচ মার্কের উপর মাখিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট রাখার পর তা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর দাগের উপর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন ধীরে ধীরে হালকা হয়ে দাগ মিলিয়ে যাবে।
আলুর রস
ত্বকের যে কোনো সমস্যার জন্য আলুর রস খুব উপযোগী। স্ট্রেচ মার্কের উপর আলুর রস মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এভাবে কয়েক সপ্তাহ যত্ন নিলেই স্ট্রেচ মার্কের দাগ উঠে যাবে।
হলুদ ও সরষের তেল
হলুদ ও সরষের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর তা স্ট্রেচ মার্কের উপর লাগিয়ে রাখুন। সপ্তাহে ৩ বার লাগালে স্ট্রেচ মার্কের দাগ এক সময় মিলিয়ে যাবে।
লেবু ও চিনি
লেবু টুকরো করে কেটে তার উপর চিনি যোগ করুন। এবার চিনিসহ লেবুটিকে স্ট্রেচ মার্কের উপর ঘষতে থাকুন। চিনি গলে গেলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ৪ বার করতে পারলে হালকা হয়ে উঠে যাবে স্ট্রেচ মার্ক।
সান নিউজ/পিডিকে/এস