নিজস্ব প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় শতকরা ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক সামাজিক নির্যাতনের শিকার। এরমধ্যে ৭০ শতাংশই সময় মতো বাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালার দ্বারা নানানভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এমন তথ্য উঠে এসেছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতের নারী শ্রমিকের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে টিকে থাকার সংগ্রামী ও অনিশ্চিত জীবনযাত্রা শীর্ষক গবেষণায়।
সোমবার (২ নভেম্বর) কর্মজীবী নারী পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য একটি ওয়েবিনার আয়োজিত হয়। কর্মজীবী নারীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানার পরিচালনায় সংস্থার সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার ও পরিচালক রাহেলা রাব্বানী গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ।
ঐ গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ নারী শ্রমিক শারীরিক, মৌখিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৮১ শতাংশ নারী শ্রমিক তাদের স্বামীর দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ এবং শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পর্যাপ্ত পরিমান ত্রান বা অর্থ সাহায্য মনিটর করার ব্যবস্থা করতে হবে। কোভিড-১৯-এর মতো পরিস্থিতিতে ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ভূমিক নিতে হবে এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণে যোগযোগ ও অধিকার আদায়ের দক্ষতা বাড়াতে হবে। যাতে তারা নারী শ্রমিকদের হয়ে তাদের অধিকার আদায় করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিরীন আক্তার এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাংয়ের (এফইএস) স্থানীয় প্রতিনিধি টিনা ব্লুম। বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল এইচ সুমন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল আহসান জুয়েল, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ ও জাতীয় নারী গৃহশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আক্তার।
সান নিউজ/এসএ