নিজস্ব প্রতিবেদক:
হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া ভারতের বিকল্প দেশ থেকে সমুদ্রপথে ২০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বাজারে ওই পেঁয়াজ আসতে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। তাই আতঙ্কিত হয়ে অযথা বেশি পেঁয়াজ কিনে মজুদ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
গত বছরের মতো এবারও হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ৬০ টাকা কেজির দেশি পেঁয়াজ ইতিমধ্যে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় আর আগের আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি পেঁয়াজ কিনে রেখে সংকট আরও বাড়িয়ে তুলছেন এক শ্রেণীর ক্রেতারা।
গত বছর ভারত রপ্তানি বন্ধের দুই সপ্তাহ পর দেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। তবে এবার রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন তারা। গতবারের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন আগেভাগেই। সেই আলোকে ২৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি দেশ থেকে মোট ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে ।
মিসর থেকে আসবে ১০০ টন আর অন্য চারটি রপ্তানিকারক দেশ তুরস্ক, চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হবে বাকি পেঁয়াজ।
আমদানিকারকরা মনে করেন, দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মিশরের পেঁয়াজ দেশে আসা শুরু হবে। আর বাকি দেশগুলো থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছবে। পেঁয়াজ আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পণ্যটি নিয়ে স্থানীয় বাজারে যেন কোনো ধরনের অস্থিরতা তৈরি না হয়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ বলে জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সান নিউজ/পিডি/ এআর