নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতে পেঁয়াজ সংকট দেখা দেয়ায় ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ৩ মাস বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় দেশটি। এ অবস্থায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রমজান শুরু হওয়ায় আরেক দফা দাম বাড়ে পণ্যটির। তবে এবার আমদানির খবরে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মজুত বৃদ্ধির কারণে নয়, বরং শুধুমাত্র আমদানির খবরে মাত্র ২ দিনে অর্ধেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অবৈধভাবে মজুত করা পেঁয়াজ এখন বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে।
এতে পেঁয়াজের দাম পাইকারি মোকামে মনপ্রতি কমেছে ১৪০০ টাকা। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। মাত্র ৩ দিন আগেও প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা মন চাইলে দাম বাড়াচ্ছে, আবার মন চেয়েছে দাম কমাচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে সরকারের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। সেই সাথে বাজার মনিটরিং আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, বাংলাদেশে রফতানি করতে কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনেছে ভারত। এ পেঁয়াজের দাম হবে কেজি প্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামী সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত এই কারণে ব্যবসায়ীরা গুদাম খালি করা শুরু করেন। বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় যারা এতদিন অবৈধভাবে মজুত করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে, এখন তারা মূল্য কমিয়ে বাজারে ছাড়তে থাকে। এছাড়া কৃষক পর্যায় থেকেও পণ্যটি বাজারে আসায় দাম কমতে থাকে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যেসব স্থান থেকে পেঁয়াজ আসে, সেখানকার কিছু ব্যবসায়ী রোজায় বাড়তি মুনাফা পেতে পণ্যটি মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। মোকাম পর্যায়ে দাম বাড়ার ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল।
তারা আরও জানান, ইতিমধ্যে কৃষকের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ায় দাম কমছে। এরপরও ওই চক্র বাড়তি দম ধরেই মুনাফা করছে। এ সময় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ আসায় পণ্যটির দাম কমেছে। অল্প লাভেই আমরা বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে ১০০-১১০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করছি।
সান নিউজ/এনজে