বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ দিনে
বাণিজ্য

আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও পেঁয়াজে ঝাঁজ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আবারো বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। ভারত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হলেও মূল্য বাড়ছেই। আমদানিকারকরা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকায় নিয়ে এলেও আড়তে ৪২ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব দেশি পেঁয়াজের বাজারেও পড়ায় আড়তে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা ও খুচরা বাজারে ৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে আজ রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভারতের নাসিক শহর থেকে মোট ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিনের গড় আমদানি ৫০ মেট্রিকটন। সোনালী ট্রেড লিমিটেড, হামিদ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আল্লাহর দান ফ্রুটস লিমিটেড এসব পেঁয়াজ টনপ্রতি ৩০০ মার্কিন ডলার শুল্কায়ন মূল্যে এসব পেঁয়াজ এনেছে। সেই হিসেবে আমদানিকারকদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা পড়ে ২৫ টাকা।

পেঁয়াজ আমদানিকারক এম এস আলম বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর সীমিত লাভে বিক্রি করি। প্রতিটি বাজারে আড়তদারদের সিন্ডিকেট কাজ করে। তারাই মূলত বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন।বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকলেও এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা সংকট দেখিয়ে মূল্য ঊর্ধ্বগতি করে রাখেন। আরও একটি চক্র সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে বাজার অস্থিতিশীল করার কাজ করে।’

বেনাপোল ও শার্শা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আমদানিমূল্যের প্রায় দ্বিগুণ বেশি দামে। আড়তে যে পেঁয়াজের কেজি ৪২ টাকা, সেটিই খুচরা বাজারে গিয়ে হাঁকা হচ্ছে ৪৫ টাকা। এর প্রভাবে দেশি পেঁয়াজ আড়ত থেকে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকায় বের হলেও খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।

আড়তদারদের দাবি, ‘বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি অনেক কম। বেনাপোল ও সাতক্ষীরা বন্দর দিয়ে যে পেঁয়াজগুলো আমদানি হয়ে থাকে, এই পেঁয়াজগুলো সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামে চলে যায়। এসব পেঁয়াজ আমাদের ঢাকা থেকেই কিনে আনতে হয়। খরচ পড়ে অনেক বেশি। যেদিন যেভাবে পেঁয়াজ কেনা হয়, তার চেয়ে এক টাকা বা দুই টাকা লাভে আমরা বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে আমরা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪২ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। আমদানি করা পেঁয়াজগুলো আমদানিকারকরা যদি সরাসরি বেনাপোল বাজারে বিক্রি করতেন, তাহলে এসব বাজারে দাম আরো কম থাকতো।’

ক্রেতারা বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। হঠাৎ করে দাম বেড়েছে। একলাফে ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য পেঁয়াজ কিনে খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’

তারা আরো বলছেন, বাজারে প্রশাসনের কোনো মনিটরিং না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজার মনিটরিং থাকলে এটা করতে পারতো না সিন্ডিকেট।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি বলেন, কেউ যেন সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারেন, সেজন্য শার্শা, নাভারন, বাঁগআচড়া ও বেনাপোল বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে নিয়মিত। সিন্ডিকেটের কারো বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পেলে জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দরে পেঁয়াজের গাড়ি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। খুব কম সময়ে পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের কাজ সম্পন্ন করে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। গত ১৩ দিনে আমদানি হয়েছে প্রায় ৬৫০মেট্রিকটন।

সান নিউজ/ এআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

হাতুড়ি দিয়ে রাজমিস্ত্রিকে খুন

জেলা প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ জেলার...

ভালুকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে...

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাণিজ্য ম...

ড. ইউনূস-মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরক...

বৃষ্টিতে জনজীবনে ছন্দপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভদ্র মাসের শেষ দিনে স্থল নিম্নচাপের প্রভাব...

নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে...

পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার দ...

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার উ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা