নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: গত মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে অনেকেই ছিলেন কর্মহীন। তার ওপরে হানা দিয়েছিল সুপার সাইক্লোন আম্পান। এতো দুঃসংবাদের ভিড়েও ক্ষতি পুষীয়ে লাভের মুখ দেখছেন বরিশালের পানচাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এক সময় শুধু বারুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা পান চাষ ও ব্যবসায় জড়িত থাকলেও এখন অনেক সাধারণ চাষিও পান চাষে ঝুঁকছেন। ফলে সামাজিক কৃষির পর ধারাবাহিকভাবে পানচাষে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকেরা।
হিসেব বলছে, জেলার ১০ উপজেলার কয়েক শতাধিক পানের বরজে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২০ হাজার ৩৬ মেট্রিকটন পান উৎপাদিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বরিশাল সদর উপজেলায় ৩২৮ মেট্রিকটন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৭৮৭ মেট্রিকটন, উজিরপুর উপজেলায় দুই হাজার ৫২০ মেট্রিকটন, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিন হাজার ৫৫০ মেট্রিকটন, গৌরনদী উপজেলায় ছয় হাজার ৪৫৮ মেট্রিকটন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক হাজার ৯৫৩ মেট্রিকটন, মুলাদি উপজেলায় এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন, হিজলা উপজেলায় এক হাজার ৯৬ মেট্রিকটন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় এক হাজার ৪৪০ মেট্রিকটন এবং বানারীপাড়া উপজেলায় ৭০৪ মেট্রিকটন।
চলমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরে গত বছরের প্রায় দেড়গুণ বেশি উৎপাদন হবে বলেও আশা অধিদপ্তরের।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা তাওফিকুল আলম জানান, করোনাকালেও ভালো দাম পাওয়ায় পানের বরজে পান চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অধিকাংশ চাষি। পান চাষে ক্ষতি কম। পান পাতায় রোগ বালাই, পােকা-মাকড়ের আক্রমণ ও পচন থেকে রক্ষায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ সহজলভ্য করে দিয়েছে সরকার।
জেলার ১০ উপজেলার দুই হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়। এর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১২৫ হেক্টর, উজিরপুর উপজেলায় ৩১৫ হেক্টর, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৫০০ হেক্টর, গৌরনদী উপজেলায় এক হাজার ৫০ হেক্টর, আগৈলঝাড়ায় উপজেলায় ২৭৫ হেক্টর, মুলাদি উপজেলায় ১৫০ হেক্টর, হিজলাউপজেলায় ১৬০ হেক্টর, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ২০০ হেক্টর এবং বানারীপাড়া উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।
এ সকল জমিতে হেক্টরপ্রতি ফলন হয় ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, উজিরপুর উপজেলায় ৮ শতাংশ, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, গৌরনদী উপজেলায় ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, আগৈলঝাড়ায় উপজেলায় ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, মুলাদি উপজেলায় ৮ শতাংশ, হিজলা উপজেলায় ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং বানারীপাড়া উপজেলায় ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছে।
সান নিউজ/ এআর