নিজস্ব প্রতিবেদক:
হঠাৎ করে অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দ্রুতই খোলা বাজারে বিক্রি শুরু করবে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রাখবে টিসিবি।
গত বছরও আচমকা আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী। ধীরে ধীরে দেশি পেঁয়াজ বাজারে নামার পর দরও পড়তে থাকে। ফের রপ্তানি স্বাভাবিক হলে পেঁয়াজের মূল্যও স্বাভাবিক হয়ে আসে।
তবে এ বছর বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ও দফায় দফায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষিতে। যার ফায়দা নিচ্ছে কিছু মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী। এরই মধ্যে গেল আগস্ট মাসের শেষের দিক থেকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুন।
সেপ্টেম্বর মাসের চলতি সপ্তাহে মাত্র তিনদিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। হঠাৎ করে এমন দাম বাড়ায় বাড়তি পেঁয়াজ কিনে মজুদ করছেন ক্রেতারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে, আমদানিও রয়েছে স্বাভাবিক। পেঁয়াজের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে তাই টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্স কমিটির বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া পেঁয়াজের মজুত, আমদানি ও সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পেঁয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্কহার পুননির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়।