নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের পর ফের মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে মজুরি গ্রেড ৫টি থেকে কমিয়ে ৪টি করা হয়েছে। তবে গ্রেড ৪ এর নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঠিক রেখে বাকি তিন গ্রেডে বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
রোববার (২৬ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মজুরি বোর্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, পোশাক খাতের মজুরির ৫টি গ্রেড কমিয়ে ৪টি করা হয়েছে। তবে গ্রেড ৪-এর নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঠিক রেখে বাকি তিন গ্রেডে বাড়ানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে গ্রেড ১- এর মজুরি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৩৫ টাকা, গ্রেড ২-এর মজুরি ১৩ হাজার ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা এবং গ্রেড ৩-এর মজুরি ১৩ হাজার ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ২৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের সাইবার কর্মশালা সম্পন্ন
মালিক পক্ষ থেকে ১৭৩টি সংগঠন এবং শ্রমিকদের মধ্য থেকে ২৫টি সংগঠনের আপত্তির পর মজুরি পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসময় মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, বোর্ডে বিজিএমই-এর প্রতিনিধি হিসেবে সংগঠনের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে, কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ৭ নভেম্বর বিকেলে কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত মজুরি বোর্ডের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ মজুরি ঘোষণা দেন। আর ১২ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন
মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য বছরে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) সুবিধা রাখা হয়। পাশাপাশি বেতন গ্রেড ৭টি থেকে কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া শ্রমিকরা মোট বেতনের ৬৩ শতাংশ বেসিক হিসাবে পাবেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি পরিবার একটি করে ফ্যামিলি কার্ডও পাবে।
নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
সান নিউজ/টিও