নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনরত শিরোমণি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুটমিলের শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এবার মিল মালিককে আইনের আওতায় এনে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম।
বৈঠকে শ্রমিকদের কাছে পূর্বনির্ধারিত রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শ্রমিকনেতারা পাওনা পরিশোধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও শ্রম পরিচালকের দপ্তর থেকে লিখিত আকারে নির্দিষ্ট ঘোষণা চেয়েছেন।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছেন শ্রমিকরা।
শনিবারের (০৫ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, কেএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, ডিসি (নর্থ) মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন ও কল-কারখানা পরিদর্শক মো. আরিফ হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
মিলের শ্রমিকদের পক্ষে ছিলেন শ্রমিকনেতা মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, ক্বারী আছহাফ উদ্দিন, ইন্জিল কাজী, কাগজী ইব্রাহীম, সাইফুল্লাহ তারেক ও মিহির রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ছাটাইকৃত শ্রমিকদের গ্রাচ্যুইটি, পিএফসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধের বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে মিলমালিক একাধিকবার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে সময় নিলেও সেটি বাস্তবায়ন করেননি। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মিল মালিককে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, মিলের শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করার আগে কোনো মালামাল বের করা হলে তিনি যেই হোন না কেন, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। শ্রমিকেরা যেন অতি দ্রুত তাদের ন্যায্য পাওনা পেতে পারেন, সে বিষয়ে তিনি আন্তরিক রয়েছেন।
কর্মকর্তারা শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত রাজপথ-রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে মিলের সিবিএ’র সাবেক সভাপতি শহিদুল্লাহ খাঁ জানান, তাদের কর্মসূচি এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। জেলা প্রশাসক ও শ্রম পরিচালকের দপ্তর থেকে লিখিত আকারে নির্দিষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, মিল মালিক সিবিএ নেতা সুলতান মোল্যা, রশিদ, মন্টু ও রবিসহ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে আঁতাত করে সাত বছর ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।