নিজস্ব প্রতিবেদক: ডলারের দাম ক্রমেই বাড়ে চলেছে। এর বিপরীতে কমছে টাকার মান। চলতি অর্থ বছরে (২০২৩-২৪) এবার ষষ্ঠবারের মতো টাকার মান কমলো।
আরও পড়ুন: আরও ১৫ জনের মৃত্যু, ভর্তি ১৭২৮
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) প্রতি ডলারের দাম দেশে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১১১ টাকা করা হয়েছে।
পর্যালোচনায় পাওয়া গেছে, এ অর্থ বছরের ৪ মাসে টাকার মান কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। এক বছরে কমেছে প্রায় ১০ টাকা।
সর্বশেষ আজ আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে প্রতি ডলার কিনতে ১১১ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। গতকাল এক ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা।
এতে চলতিঅর্থ বছরে ষষ্ঠবারের মতো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলো। গত জুলাইয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা। এর এক বছর আগে গত নভেম্বরে ছিল ১০১ টাকা ৩৮ পয়সা।
আরও পড়ুন: আবারও দাম বাড়ল এলপিজির
চলতি মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে। গতকাল থেকে রেমিট্যান্স ও রফতানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে।
এতে আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা। গত মাসে ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে ৩-৫ টাকা বেশি দরে।
আরও পড়ুন: হজের খরচ প্রায় লাখ টাকা কমলো
অন্যদিকে ব্যাংকের বাইরে খোলা বাজারে ডলার কেনা-বেচা হচ্ছে ১১৮-১১৯ টাকায়। এছাড়া শিক্ষার্থী, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ও পর্যটক হিসেবে বিদেশে যাওয়ায় সময় ডলার কিনতে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে ঘাটতির কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে।
এদিকে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোর কাছে চাহিদার বিপরীতে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে চলতি অর্থ বছরে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। এতে রিজার্ভও ধারাবাহিকভাবে কমছে।
সান নিউজ/এনজে