নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: পাটকল শ্রমিকদের সকল আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বিজেএমসি খুব দ্রুত খুলনাসহ দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো পিপিই’র ভিত্তিতে চালু করবে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে বিশেষ সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এসব কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো চালুর আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ পাটকলগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করা রাষ্ট্রীয় এবং নৈতিক দায়িত্ব মিলগুলোর প্রকল্প প্রধানসহ মিলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পিপিই’র ভিত্তিতে চালু না হওয়া পর্যন্ত মিলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি হওয়ার আশঙ্কায় পাটকলগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মিলগুলো সচল থাকার সময়ও যেমন মিলের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণের মূল দায়িত্ব ছিল কর্মকর্তাদের, তেমনি এই বন্ধকালেও তাদের এই দায়িত্বে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, মিলগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় মিল কর্তৃপক্ষের পাশে থেকে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। প্রতিটি পাটকলে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তদারকি করার পরামর্শ দেন তিনি।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের আইসিটি বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে মিলগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে সকল ধরনের সহযোগিতা দেবে। প্রয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হবে।
পাটকলগুলোর নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে অস্ত্রসহ আনসার নিয়োগের অনুমোদন হয়েছে। সভায় শিল্পপুলিশ ও নৌ-পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানোসহ মিলগুলোর নদী তীরবর্তী সীমানায় নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় র্যাব, জেলা পুলিশ, শিল্পপুলিশ, নৌ-পুলিশ, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাসহ পাটকলগুলোর প্রকল্প প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/ এআর