নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুর: হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নতি হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে দুদেশের বাণিজ্যে। সম্প্রতি ভারত থেকে পাথর আমদানি বেড়েছে। বন্দর এলাকায় কমেছে আমদানিকৃত পাথরের দামও।
দেশের অভ্যন্তরে সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা এসব পাথর। মূলত ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে আনা হচ্ছে পাকুর জাতের এসব পাথর। বন্দরের রেল ও সড়ক উভয় পথেই আমদানি চলছে।
সম্প্রতি বেশি পাথর আমদানি করায় বন্দরে বেড়েছে বেচা-কেনা, কমেছে দাম। সেই সঙ্গে বাড়ছে সরকারের রাজস্ব। দীর্ঘদিন করোনার কারণে বন্ধ ছিল বন্দর। অনেক দিন পর বেচাকেনা বাড়ায় বন্দর এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে কাজের গতি ফিরে এসেছে, তেমনি স্বস্তি ফিরেছে শ্রমিকদের মাঝে।
গত এক মাস আগে যে পাথর হিলি বন্দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি টনে তিন হাজার ৯০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা দরে। সেই পাথর এখন প্রতি টনে ৭০০ টাকা কমে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৩০০ টাকা দরে।
পাথর আমদানিকারকরা বলছেন, ‘দিন দিন দেশে পাথরের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন রেল ও সড়কপথে আমরা পাথর আমদানি করছি। সম্প্রতি দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে, বেড়েছে বেচা-কেনাও।’
ক্রেতা বিক্রেতাদের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে শ্রমিকদেরও। শ্রমিকরা জানান, আগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মুজুরি পেলেও এখন আরও বেশি পাচ্ছেন তারা।
হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পাথরের আমদানি বেড়েছে, পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। গত এক মাসে ভারত থেকে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে। রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
সান নিউজ/ এআর