নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহামারি করোনাভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে আয় কমেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ ও ফ্লাইট সংখ্যা আগের চেয়ে কমে যাওয়ায় এ আয় কমেছে। আয় কমায় প্রভাব পড়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ওপর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে পরবর্তী ছয় মাসেও (জুলাই-ডিসেম্বর) আয় তেমন একটা বাড়বে না। করোনার প্রভাব পড়বে মূলত পুরো বছরের আয়ে। তাই আয় বাড়াতে বেবিচক বিমানবন্দর ব্যবহারে যাত্রীদের ওপর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ফি আরোপ করেছে। ফলে কিছুটা হলেও আয় বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য মতে, বিমানবন্দরের ভেতরের টার্মিনাল ব্যবহারের ফি, ব্যাগেজ বেল্টের ফি, কার পার্কিং, বিমানবন্দরের ভেতরের দোকান ও রেস্টুরেন্টের ভাড়া, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের বোর্ডসহ আরও কয়েকটি খাত থেকে আয় আসে।
পৃথিবীর সব দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই এসব খাত থেকে মোটা অংকের অর্থ আয় করে। দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও এসব খাত থেকে আয় করে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের প্রথম ৬ মাসে বিমানবন্দর থেকে আয় হয়েছিল ৭৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২০২০ সালের একই সময়ে আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ কোটি ১০ লাখ টাকায়। ফলে গতবছরের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আয় কমেছে ২৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, করোনার ধাক্কা সব সেক্টরেই লেগেছে। বিমানবন্দরও তার বাইরে নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘদিন বিমানবন্দরে প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট বন্ধ ও ফ্লাইট ওঠা-নামা আগের চেয়ে কমে যাওয়ায় আয় কমে গেছে।
সান নিউজ/ আরএইচ