নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। নতুন এ দরে সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।
আরও পড়ুন: সূর্য অভিযানে যাচ্ছে আদিত্য-এল ১
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দর কার্যকর হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রফতানি ও রেমিট্যান্সের ডলারের দাম একই পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আগে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম রফতানির চেয়ে বেশি ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক সভায় ডলারের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)।
আরও পড়ুন: ঋণের ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিল শ্রীলংকা
দাম বাড়ার ফলে এখন রফতানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রবাসীরাও রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়া আমদানির বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। দাম বাড়ার ফলে ঋণপত্র খুলতে আমদানিকারকদের আগের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। ফলে পণ্য আমদানিতেও খরচ বাড়বে।
আরও পড়ুন: বিসিএসের খাতা পুনর্নিরীক্ষণ চায় শিক্ষার্থীরা
এর আগে ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা এবং রফতানিকারকদের প্রতি ডলারের জন্য ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে আসছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবেলায় শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম বেঁধে দেয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
ফলে এ সংকট আরও বাড়ে। পরবর্তীতে গত সেপ্টেম্বরে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে এ দায়িত্ব দেয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকেই সংগঠন ২ টি রফতানি ও রেমিট্যান্স আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এ ২ সংগঠন মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।
সান নিউজ/এনজে