নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
আরও পড়ুন : বিচার বিভাগ মৌলিক অধিকারের রক্ষক
বুধবার (৩০ আগস্ট) এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গুসহ সাধারণ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও চিকৎসা এবং মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হবে ওই অর্থ।
আরও পড়ুন : দ. আফ্রিকায় ভবনে আগুন, নিহত ৫২
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এর আওতায় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার-পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে। পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৫ লাখ শিশু এ সেবা থেকে উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু শহর এলাকায় নাগরিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এখনো সীমিত। ফলে দরিদ্র ও বস্তিবাসীদেরও বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
তিনি আরও জানান, জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত নগরায়ণের কারণে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বাড়ছে, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভূত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা খাতে।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রকল্পের আওতায় নারীদের মাতৃত্বকালীন সেবাও দেওয়া হবে। এতে আড়াই লাখ নারী তাদের গর্ভকালীন অন্তত চারটি চেকআপের সুযোগ পাবেন।
এছাড়া ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক উচ্চ রক্তচাপের স্ক্রিনিং এবং ফলোআপ চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও পরিবার-পরিকল্পনা ক্লিনিকে দরিদ্র নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির খরচ কমিয়ে আনতেও সহায়ক হবে এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন : তাইওয়ানকে প্রথমবার মার্কিন সহায়তা
প্রসঙ্গত, গত অর্ধশতাব্দীতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে ৪ হাজার কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো নির্মাণসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর